ওসি ও ডিআইজি পরিচয়ে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক গ্রেফতার
পুলিশের ওসি ও ডিআইজি পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৫)–কে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিট। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম হোসেনের পিতা মো. আবু তাহের খান ও মাতা মোছা. আমেনা বেগম। তার স্থায়ী ঠিকানা চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার কাদলা (খান বাড়ি) গ্রামে, বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় নুরুজ্জামান বেপারীর বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
আরও পড়ুন: পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, খুরশীদ জাহান নামের এক ব্যবসায়ী গত ২৫ আগস্ট ২০২৫ বিকেলে হোয়াটসঅ্যাপে এক কল পান। কলদাতা নিজেকে “ওসি মহসিন” পরিচয়ে জানিয়ে বলেন, “আলম গাজী” নামের এক মানিলন্ডারিং মামলার আসামি খুরশীদ জাহানের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করেছেন, ফলে তাকেও আসামি করা হবে। এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতারক চক্রটি খুরশীদ জাহানকে ব্র্যাক ব্যাংকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলে। ভয়ে তিনি তিন দফায় মোট ১৫ লাখ টাকা প্রেরণ করেন।
পরবর্তীতে একই চক্র “ডিআইজি” পরিচয়ে আরও ২ লাখ টাকা দাবি করলে খুরশীদ জাহানের সন্দেহ হয় এবং তিনি বিষয়টি ধানমন্ডি থানায় জানান। এই ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় মামলা (নম্বর–১৬, তারিখ–২৮/০৮/২০২৫, ধারা–৪০৬/৪২০ পেনাল কোড) দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: অনলাইনে পণ্য বিক্রির নামে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার
মামলাটি সিআইডির তফসিলভুক্ত হওয়ায় তদন্তভার গ্রহণ করে সাইবার পুলিশ সেন্টার। তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তি ও ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে চক্রের গতিবিধি শনাক্ত করা হয়। এরপর ৪ নভেম্বর ২০২৫ বিকেলে অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকা থেকে প্রতারক সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের সময় তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন ও দুটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
সিআইডি জানায়, গ্রেফতারকৃত সাদ্দামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং চক্রটির অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।





