চুরি ঠেকানোর নামে পাইপ লাইন নির্মাণে হরিলুট

* সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার পাইপ লাইনে তেল সরবরাহের নামে বিপিসির তুঘলকি কাণ্ড
* ১৫৮ কোটি টাকা ট্যাংকার ভাড়া বাঁচাতে ৭৭৩ কোটি টাকার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ
আরও পড়ুন: প্রথম ১০ দিনে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করলেন ৯৬ হাজারের বেশি করদাতা
* চৌদ্দগ্রামে সীমান্ত ঘেষে পাইপ লাইন নির্মাণে পাচারের ঝুঁকি
*ট্যাঙ্কার জাহাজের মালিক শ্রমিকরা কর্মহীন হবে
আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ডিজেল পরিবহনে খরচ কমানোর নামে হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাটের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন-বিপিসি। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা তেল পরিবহনে বছরে ট্যাংকার খরচ ১৫৮ কোটি টাকা হলেও পাইপলাইন রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় হবে ৭৭৩ কোটি টাকা।
ডিজেল পরিবহনে অর্থ ও সময় সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পাইপ লাইন চালু প্রস্তুত হলেও এটি ট্যাংকার শিল্প সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপ লাইনে ডিজেল পাঠাতে গিয়ে সিস্টেম লস এর মধ্যে পড়েছে বিপিসি। পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেলের সরবরাহ করে কম প্রাপ্তিতে এই পাইপলাইন এখন বিপিসির গলার কাঁটা হয়ে উঠছে। সিস্টেম রসের কারণে চট্টগ্রাম থেকে পাঠানো তেল ঢাকায় এসে কমে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের শক্তিশালী সিন্ডিকেট বিপিসির এই তুষ- লকি পাইপলাইন নির্মাণের কাজে হাত দেয়। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা প্রকল্পে ২০১৮ সালে কাজ শুরু হলেও কাজ শেষ করতে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়। দফায় দফায় বাড়ানো হয় নির্মাণ খরচ। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ও সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ মিলে টেন্ডার ছাড়াই কাজটি সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, পাইপলাইনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হলে নৌপথে তেল পরিবহণ কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির হতে পারে। তেল পরিবহনে বিদ্যমান ১২০টি আন্তর্জাতিক মানের ট্যাংকার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ঢাকায় পাইপলাইনে তেল সরবরাহের মাধ্যমে পরিবহণ ব্যয় কমার পাশাপাশি সময়েরও সাশ্রয় হবে। কমবে তেল চুরিসহ সিস্টেম লস। ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শুরুর প্রায় ৬ বছর পর পাম্পিংয়ের মাধ্যমে তেল সরবরাহ শুরু হয়। এই পাইপলাইন দিয়ে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি থেকে ঢাকার নারায়ণগঞ্জের ডিপোতে প্রতিদিন পাঠানো হচ্ছে ৬ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল। পর্যায়ক্রমে বিপিসি সহযোগী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও যমুনা অয়েলকে এই পাইপলাইন দিয়ে তেল সরবরাহ করা হবে। জানা যায়, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম-ঢাকা পাইপলাইনের কাজটি ২ হাজার ৮৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে গৃহীত হয়। প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জের গোদলাইন ও ফতুল্লা পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় এবং করোনাকালে কাজ বন্ধ রাখতে হয়। এর মধ্যে প্রকল্প ব্যয়ও অনেক বেড়ে যায়। বাড়ে জমি অধিগ্রহণ খরচও। ব্যয় দাঁড়ায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাহাজ মালিকরা শুধু মারাত্মক সমস্যায় পড়বেন না তেল সরবরাহে সারাদেশের বিপর্যয় হতে পারে। কারণ সরকারের এই প্রকল্পটি অপরিকল্পিত। তারা বলছেন, িিব পসির আমদানি করা সিংহভাগ জ্বালানি তেল যদি চট্টগ্রাম-ঢাকা পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়, তাহলে নৌপথে জ্বালানি তেল পরিবহণ সেক্টরটি একটি মৃতপ্রায় সেক্টরে পরিণত হবে। ৪৪ বছরের জন্য পরিকল্পিত জাহাজগুলো খুব অল্প সময়েই-মাত্র ৩৬ বছরে ‘স্পষ্ট কারণে’ আউট-অফ-সার্ভিস হয়ে যাবে। এটি শুধু নৌপথে নয়, পুরো শিল্পে নির্ভরযোগ্যতার সংকট তৈরি করবে। সংগঠনটির নেতাকর্মীদের দাবি, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে এসব জাহাজ নিয়ে আসে যেখানে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগই সবচেয়ে বেশি। সংগঠনটি বলছে, জ্বালানি তেল পরিবহণে চট্টগ্রাম-ঢাকা পাইপলাইন চালুর কারণে এই অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত জাহাজগুলোর মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহণের জন্য বিপিসিতে বাৎসরিক ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয় করতে হতো। এর বিপরীতে ওই পাইপলাইন নির্মাণে বিপিসি কর্তৃক এরই মধ্যে খরচ করা হয়েছে ৩ হাজার ৬শ কোটি টাকা। আর এটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিপিসিকে বছরে খরচ করতে হবে ৭৭৩ কোটি টাকা। যা জাহাজে পরিবহণ খরচের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
এই বিপুল পরিমাণ ব্যয়ে নির্মিত পাইপলাইন প্রকল্পটি দেশের জন্য কোনোভাবেই ব্যয় সাশ্রয়ী নয় উল্লেখ করে সংগঠনের নেতারা বলেন, বিপিসির অভিযোগ, জাহাজের মাধ্যমে তেল পরিবহণ করা হলে তেলের পরিমাণ ঠিকভাবে বুঝে পায় না। এতে বিপিসির ঘাটতিজনিত আর্থিক ক্ষতি হয়, যা মোটেই ঠিক নয়। জাহাজের মাধ্যমে তেল লোডের সময় যে পরিমাণ তেল লোড করা হয় সমপরিমাণ তেল আনলোডের সময় বিপিসিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। যে কোনো পরিমাণ তেল ঘাটতির আর্থিক মূল্য তেল পরিবহণের বিল বাবদ সমন্বয় করে রাখা হয় বলেও দাবি করেন তারা।
সংগঠনটির দাবি, বিশ্বের যেসব উন্নত দেশে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয় তার সবগুলোতেই বছরব্যাপী দুর্ঘটনা লেগে থাকে। এতে মানবসম্পদ, অর্থসম্পদসহ পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। দুর্ঘটনার কারণ পাইপলাইনে ক্রমশ প্রাকৃতিক ক্ষয়, বন্যার কারণে জমি সরে গিয়ে পাইপে ফাটল, নির্মাণ ত্রুটি, চুরির উদ্দেশ্যে পাইপলাইনে আঘাত, নাশকতা ইত্যাদি। সম্পদশালী দেশ হওয়ায় সেসব দেশ এমন বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারলেও বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির জন্য এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা খুব কঠিন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, প্রতিটি ট্যাংকার তৈরি করতে প্রায় ১৩.৫০ থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে। এতে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু জাহাজগুলোতে প্রত্যাশিত ট্রিপ না পাওয়ায় অনেক জাহাজ মালিকই ব্যাংক ও ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপি ও দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন। তার ওপর মেয়াদোত্তীর্ণ জাহাজ বয়সগত কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সংগঠন শ্রমিকদের নিয়োগ দানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এতে বেশ বড় রকমের আর্থিক চাপ জাহাজ মালিকদের ওপর পড়ছে। তিনি বলেন, এসব কারণে জাহাজ মালিকরা যখন মারাত্মক সমস্যায় জর্জরিত, সেই সময় বিপিসির আমদানি করা সিংহভাগ জ্বালানি তেল যদি চট্টগ্রাম-ঢাকা পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবাহিত হয় তবে নৌপথে জ্বালানি তেল পরিবহণ সেক্টরটি মুখ থুবড়ে পড়বে। হাজার কোটি টাকার ঋণে নির্মিত ট্যাংকার জাহাজগুলো একযোগে বন্ধ হয়ে এ সেক্টরটি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হবে। শত শত ট্যাংকার জাহাজে নিয়োজিত কয়েক হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে। বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান ব্যবসায়ীদের কিছুটা ক্ষতি হবে স্বীকার করে বলেন, পাইপলাইনে বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। শতাংশের হিসাবে ৪০টি জাহাজ হলেও বন্ধ হবে। কিন্তু এটা মেনে নিতে হবে। সাগরে আমাদের জাহাজের অনেক চাহিদা। তারা অন্য কোনো ব্যবসায় নিজেদের নিয়োজিত করবে। এ ছাড়া তো আর কোনো উপায় নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তেল পরিবহনের জন্য ১২০টি ট্যাংকার জাহাজ নির্মাণ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এর অধিনস্ত তিনটি তেল বিপনন কোম্পানি যথা-পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড।
বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত জাহাজের মাধ্যমে বার্ষিক ২২ লক্ষ টন জ্বালানি তেল পরিবহণ করা হয় এবং এর বিপরীতে কোনরূপ বিনিয়োগ ব্যাতীত বিপিসিকে শুধুমাত্র জাহাজ ভাড়া বাবদ বছরে ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। তেল পরিবহনের সময় জাহাজে যে পরিমাণ তেল লোড করা হয় ঠিক সমপরিমাণ তেল ডিপোসমুহে আনলোড করার সময় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। যদি কোন তেলের ঘাটতি হয় তার সমপরিমাণ আর্থিক মূল্য আমাদের জাহাজ ভাড়া থেকে কর্তন করা হয়। ইহাতে প্রতিয়মান হয় যে, জাহাজের মাধ্যমে তেল পরিবহন করা হলে রাষ্ট্রের কোন লস বা আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয় না। কিন্তু আমরা অতীব দুঃখের সাথে লক্ষ্য করলাম এই ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয়ের নামে ৩৬০০ কোটি টাকা খরচ (বিনিয়োগ) করে জ্বালানি তেল পরিবহণে চট্টগ্রাম-ঢাকা একটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে এবং এটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিপিসিকে বছরে নূন্যতম ৭৭৩ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে যাহা আমাদের ট্যাংকার জাহাজগুলিকে প্রদত্ত তেল পরিবহণের খরচের অনেক কম। এই বিপুল পরিমাণ ব্যয়ে নির্মিত পাইপলাইন প্রকল্পটি দেশের জন্য কোনভাবেই সাশ্রয়ী নয় এবং এতে করে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়াও এই জাহাজগুলি নির্মাণে আমরা মালিকগণ বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যে বিপুল পরিমাণ ঋণ করেছিলাম প্রয়োজনীয় ট্রিপের অভাবে ঐ সকল ঋণ অনাদায়ী হয়ে পড়বে এবং এই খাতে নিয়োজিত আনুমানিক ৪/৫ হাজার শ্রমিক কর্মচারী বেকার হয়ে পড়বে যা দেশের অর্থনীতিতে একটি বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
ইচঈ কর্তৃক নির্মিত পাইপলাইন দ্বারা শুধুমাত্র একই ধরনের পণ্য (উরবংবর্ষ) পরিবহণ করা যাবে। এতে করে তো পরিবহন অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে, কারণ পেট্রোল অকটেন, ঔবঃ ঋবষ ট্যাঙ্কার জাহাজ দ্বারাই পরিবহন করতে হবে, যা সম্পূ সমাধানও হলো না এবং এতে করে মালিকদের পক্ষে জাহাজ পরিচালনা ব্যয়ও মেটানো সম্ভব নয়। এছাড়া তেল পরিবহনে মাত্র একটি পাইপলাইন নির্মিত হয়েছে, যার কোন জবফঁহফধহপু নেই। ইতিমধ্যে সরকার কর্তৃক নির্মিত প্রকল্পটি অদ্যবধি সম্পূর্ণরূপে নির্মিতব্য বাণিজ্যিকভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি এবং এটি পরিচালনা পরীক্ষামূল চালু করে ক্ষতির সম্মুখীন পড়েছে। তাহলে এ বড় পাইপলাইন (চট্টগ্রাম-ঢাকা: ২৪০ কি.মি) কিভাবে পরিচালনা করবে। অনুসন্ধানে জানা যায় কেবল মাত্র একটি পাইপলাইনের উপর নির্ভর করে দেশের জ্বালানি তেল সরবরাহ করা ভয়াবহ নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে। যে কোন প্রাকৃ তিক দুযোর্গ, ভূমিধস, অগ্নিকাণ্ড কিংবা নাশকতাকারীরা জাতীয় যে কোন দুর্ঘটনা একটি ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে, যা মোকাবেলা করা অনেক উন্নত দেশেও সম্ভব হয়ে উঠে না এবং এতে করে সমগ্র ঢাকায় একটি অচলাবস্থা বিরাজ করবে। পৃথিবীর কোথাও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা দিয়ে পাইপলাইন নির্মিত হয় না। বিপিসি কর্তৃক নির্মিত পাইপলাইনটি চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ঢাকার মত ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার উপর দিয়ে নির্মিত হয়েছে। এতে করে যে কোন দুর্ঘটনা সংগঠিত হলে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানিসহ পরিবেশের বিরাট বিপর্যয় দেখা দিবে। এর মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল উক্ত পাইপলাইনটি ফেনী এবং চৌদ্দগ্রাম অঞ্চল দিয়ে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ সীমান্ত নিকটবর্তী অঞ্চল দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং ইহার কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়নি।