জোয়াবেদ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত

Sanchoy Biswas
আরাফাত চৌধুরী, জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ন, ২২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য জোবায়েদ হোসেনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) জোবায়েদের নিজ বিভাগ পরিসংখ্যান বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মো. রিপন রউফ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: ত্রিভূজ প্রেমের গল্প সাজিয়ে জুবায়েদের চরিত্র হরণের চেষ্টা করছে পুলিশ: অধ্যাপক রইস উদ্দিন

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা 'প্রশাসনের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান', 'আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই', 'জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস', 'ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনীদের ফাঁসি চাই', 'খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোদের রক্ষা নাই'—সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এ সময় গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের বিবরণ জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তাদের হাসাহাসির প্রতিবাদ জানিয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মো. রিপন রউফ বলেন, আমরা কয়েকদিন ধরেই বিচারের দাবি জানাচ্ছি। গতকাল পুলিশের কর্মকর্তারা যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা যেভাবে হাসাহাসি করেছে, তাতে মনে হয় না তারা একটি হত্যার বিবরণ দিচ্ছে। তারা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল আচরণ করেনি। আমরা প্রকৃত খুনির শাস্তি দাবি করছি। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন: চাকসুর প্রতিনিধি আকাশ দাশের বুয়েট শিক্ষার্থীর ধর্ষণ কে সমর্থন করে পোস্ট: উত্তাল চবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত চৌধুরী সজল বলেন, আমাদের ভাই মারা যাওয়ার পর অনেকক্ষণ পড়ে ছিল, কিন্তু পুলিশ-পিবিআই এসেছে অনেক পরে। জোবায়েদ যেখানে পড়াতেন, সেখানকার প্রত্যেকটি ভাড়াটিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে পরিবারও জড়িত থাকতে পারে। আমরা অতিদ্রুত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি। নয়তো বিচার কিভাবে আদায় করতে হয়, আমাদের জানা আছে।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দোষীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

এর আগে রবিবার বিকালে আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়িতে স্থানীয়রা জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। যে ভবন থেকে জোবায়েদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় সেখানে তিনি টিউশনি পড়াতেন।

এ ঘটনায় জোবায়েদের ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা, বর্ষার কথিত প্রেমিক মো. মাহির রহমান এবং মাহিরের বন্ধু ফারদিন আহমেদ আয়লান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের সূত্র মতে, প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েন ও ত্রিভুজ প্রেমের কারণে হত্যা করা হয় জোবায়েদ হোসেনকে।