আজ শুরু অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৬ বছর পর অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের ৬১১টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিচ্ছে সারাদেশের প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী।

প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী, প্রথম দিন আজ রোববার বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগামীকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইংরেজি, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) গণিত এবং ৩১ ডিসেম্বর (বুধবার) বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সব প্রশ্ন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের আলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে তামাক বিক্রি করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ বিরতির পর এবারই প্রথম জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯১ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন করতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ, বিতরণ এবং কেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

২০ পরীক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক, থাকছে সিসি ক্যামেরা

আরও পড়ুন: প্রকাশ হলো ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষককে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত আটটি মডেলের সায়েন্টিফিক নন-প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। ক্যাসিও (Casio) ব্র্যান্ডের Fx-82MS, Fx-100MS, Fx-570MS, Fx-991MS, Fx-991Ex, Fx-991ES, Fx-991ES Plus এবং Fx-991CW মডেল অনুমোদিত। পাশাপাশি সাধারণ (নন-সায়েন্টিফিক) ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। অনুমোদিত মডেলের বাইরে কোনো প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

৫ বিষয়ে ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা

নীতিমালা অনুযায়ী, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় মোট পাঁচটি বিষয়ে মূল্যায়ন করা হবে। বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ১০০ নম্বর করে এবং বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বর করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে মোট ৪০০ নম্বরের ওপর এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

কারা অংশ নিচ্ছে পরীক্ষায়

নীতিমালা অনুসারে, মাধ্যমিক বা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (সপ্তম শ্রেণির সব প্রান্তিকের সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলের ভিত্তিতে) জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

জুনিয়র বৃত্তি দুই ধরনের—ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি। সব বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্র ও ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে এই কোটা সমন্বয় করা যাবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা চালু করা হয়। সমালোচনার মুখে ২০২৩ সালে এসব পরীক্ষা বাতিল করে একই সিলেবাস অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষা চালু করা হয়।