ওসমানী মেডিকেলে ৮ বধিরের কানে শ্রবণযন্ত্র স্থাপন
সিলেট ওসমানী নগর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিওমেকহা) আটজন বধির রোগীর কানে সার্জারির মাধ্যমে শ্রবণযন্ত্র কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এতদিন ধরে জটিল এই অপারেশনগুলো করে আসছিল ঢাকার অভিজ্ঞ কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জন দিয়ে। কিন্তু সবশেষ দুটি অপারেশন ঢাকার কক্লিয়ার সার্জনের উপস্থিতিতে সিওমেকের নাক কান গলা বিভাগের বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ লিটু নিজেই সম্পন্ন করেছেন। এর মাধ্যমে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে নাক-কান-গলা বিভাগে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।
শুক্রবার রাতে সিলেট মেডিকেলের নাক কান গলা বিভাগের বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ লিটু ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮০৩ জন
মেডিকেল সূত্র জানায়, নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারির বিভাগীয় প্রধান দেশবরেণ্য সার্জন অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ লিটু প্রথমবারের মতো চলতি বছরে দুজন বধির রোগীর কানে সার্জারির মাধ্যমে শ্রবণযন্ত্র কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট স্থাপন করেন। এই নিয়ে মোট আটজন বধির রোগীর কানে এই অপারেশন করা হলো।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সার্জারিতে অন্যতম মূখ্য ভূমিকা পালন করেন সহকারী অধ্যাপক ও কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচি পরিচালক ডা. নূরুল হুদা নাঈম, ডা. মো. শাহ কামাল ও ডা. কৃষ্ণ কান্ত ভৌমিক। সার্জিকেল এসিস্টেন্সিতে ছিলেন এমএস কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী ডা. মেশকাত রায়হান ও ডা.অরূপ রাউৎ।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, মোট প্রাণহানি ২৫৫
সংশ্লিষ্টরা অচিরেই স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিওমেকহার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা.মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া সার্বক্ষণিকভাবে অপারেশন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার ব্যাপারে পরামর্শ দেন। তিনি অপারেশনের খোঁজখবর রাখেন। মূলত উনার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনায়ই অত্যন্ত জটিল এই কার্যক্রম স্বল্পসময়ে এত গতিশীলতা পায়। সার্জনরা অপারেশনের পর অপারেশন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
চলতি বছরে ২৫ মে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত 'কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রমের' আওতায় প্রথমবারের মত দুজন জন্মবধির তথা শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী শিশুর কানে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট স্থাপন করা হয়।
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জিকেল টিমের প্রধান নাক-কান-গলা ও হেড সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা.মনিলাল আইচ লিটুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রথম ও দ্বিতীয় অপারেশন টিমের মূল সার্জন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসএমএমইউর নাক কান গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কানু লাল সাহা ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশীদ তালুকদার ইয়ামিন। এখন পর্যন্ত অপারেশন হওয়া আটজন রোগীই ভালো আছেন।





