প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা

জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৩৪ অপরাহ্ন, ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:৩৪ অপরাহ্ন, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: চারবার প্রধানমন্ত্রী হলেও সম্পদের প্রতি শেখ হাসিনার এত লোভ: বিচারক

মামলা সূত্রে জানা যায়, পৃথক তিন মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা ৪৭ জন হলেও ব্যক্তি হিসেবে এ সংখ্যা ২৩। শেখ হাসিনা, জয় ও পুতুল ছাড়াও বাকিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য শফি উল হক, তন্ময় দাস, নুরুল ইসলাম, নাসির উদ্দীনসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা। এদের মধ্যে একমাত্র মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গ্রেপ্তার আছেন।

৯১ জন সাক্ষীর জবানবন্দিতে উঠে আসে—রাজধানীতে নিজ নামে ও পরিবারের নামে জমি থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেন শেখ হাসিনা ও তার সন্তানরা। অভিযোগে বলা হয়, রাজউকের নীতি লঙ্ঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৩০ কাঠা পর্যন্ত সরকারি জমি বরাদ্দ নেন তারা এবং জমা দেন মিথ্যা হলফনামা।

আরও পড়ুন: হাসিনা-জয়-পুতুল ছাড়া আরও যাদের সাজা হলো

সমন, গ্রেফতারি পরোয়ানা ও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পলাতক অবস্থায় বিচার অনুষ্ঠিত হয়।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের একাধিক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে আসে। এরপর গত জানুয়ারিতে পূর্বাচল প্রকল্পে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের’ অভিযোগে ছয়টি মামলা করে দুদক।

এসব মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তার ছেলে-মেয়ে, বোন শেখ রেহানা, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীকে আসামি করা হয়।

হাসিনা পরিবারের তিন মামলার বিচার একই আদালতে একত্রে চলছে। অপরদিকে রেহানা পরিবারের তিন মামলার বিচার অন্য আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৩১ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। যুক্তিতর্ক শেষে ২৩ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করা হয়।