ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাসে আনুন এই ৫ পরিবর্তন
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন অনেকের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হোক বা না হোক—রক্তে শর্করার ওঠানামা শরীর ও মনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। হঠাৎ শক্তি কমে যাওয়া, অস্বাভাবিক ক্ষুধা, মেজাজের পরিবর্তন কিংবা অকারণ স্ট্রেস—এসবই রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের কিছু সহজ খাদ্যাভ্যাসই রক্তে শর্করার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—
আরও পড়ুন: ওজন কমছে না? কোথায় ঘাটতি জানালেন বিশেষজ্ঞরা
১. শুধু কার্বোহাইড্রেট নয়, প্রোটিন দিয়ে দিন শুরু করুন
সকালের খাবারে শুধু টোস্ট, সিরিয়াল বা ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ে ও কমে। এতে অল্প সময়েই শক্তি ফুরিয়ে যায়। প্রোটিন হজম প্রক্রিয়া ধীর করে এবং দীর্ঘস্থায়ী শক্তি দেয়। সকালের খাবারে ডিম, দই, বাদাম, বীজ, ডাল বা গোটা শস্য রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: শীতে যে রোগগুলো অবহেলা করলে বড় বিপদ!
২. প্রতিটি খাবারে ভারসাম্য বজায় রাখুন
শুধু কার্বোহাইড্রেটনির্ভর খাবার রক্তে শর্করার স্পাইক বাড়ায়। কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ফাইবার যুক্ত করলে গ্লুকোজ ধীরে শোষিত হয়। শক্তির জন্য কার্বোহাইড্রেট, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে প্রোটিন, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাতে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং চিনির শোষণ কমাতে ফাইবার গুরুত্বপূর্ণ।
৩. খাবার এড়িয়ে না গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে খান
খাবার এড়িয়ে গেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে যেতে পারে। এর ফলে পরে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার খেলে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল থাকে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সারাদিন শক্তি বজায় থাকে।
৪. খাবারের ফাঁকে প্রোটিনসমৃদ্ধ স্ন্যাকস বেছে নিন
বিস্কুট বা মিষ্টিজাতীয় খাবারের পরিবর্তে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করা যায়। বাদাম, বীজ, দই, সেদ্ধ ডিম কিংবা ভাজা ডাল হতে পারে ভালো বিকল্প।
৫. প্রতিটি খাবারে ফাইবার বাড়ান
ফাইবার রক্তে চিনির শোষণ ধীর করে এবং খাবারের পর গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া ঠেকায়। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। শাক-সবজি, খোসাসহ ফল, ডাল ও গোটা শস্য ফাইবারের ভালো উৎস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকটাই সহজ হয় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে।





