মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত

সারা দেশের মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার বিষয়ে ২০২৩ সালের প্রথম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সভায় আগামী বর্ষায় মশক নিধনে সিটি কর্পোরেশন সমূহের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়াও সভায় বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং আগামী বর্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানান, গত দুই মাসে সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৬২ জন, মালয়েশিয়ায় ১৭,৩৮৮ জন, শ্রীলঙ্কায় ১৪,৯৮৯ জন আর বাংলাদেশে গত তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৭৫ জন।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও বিস্তার রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে সমসাময়িক অনেক দেশের থেকে আমাদের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভালো হলেও আমরা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শুন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি । সেজন্য আজকের এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর এবং সংস্থার কর্মপরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে প্রস্তুতি ও সক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা
সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম ২০২৩ সালের এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সর্বশেষ তথ্য উপস্থাপনা করেন এবং আগামী বর্ষায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ পর্যালোচনার পর আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ঢাকাসহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সিটি কর্পোরেশন সমূহের প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৫টি খাল পানি প্রবাহের উপযুক্ত করতে খননসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে জোর তাগিদ দেওয়া হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকার জলবদ্ধতা নিরসনে জানান, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে ঢাকার আশেপাশের খালগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনকে দেওয়ার ফলে অবৈধ দখল মুক্ত করে পানি প্রবাহের পথ সুগম হওয়ায় আধা ঘন্টার মধ্যে ঢাকা শহরের অধিকাংশ স্থানের জলাবদ্ধতা এ বছর দূর হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিন এ খানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।