মিটারবিহীন আবাসিক গ্যাসের বিল ৪৭% বাড়ানোর প্রস্তাব তিতাসের

Shakil
বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ন, ১৫ মে ২০২৩ | আপডেট: ১:৩৯ অপরাহ্ন, ১৫ মে ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বর্তমানে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিতাস গ্যাসের মোট ২৮.৫৭ লাখ আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। তাদের মধ্যে, ২৫.২৫ লক্ষ মিটারবিহীন। আর ৩.৩২ লক্ষ প্রি-পেইড গ্রাহক। তিতাস দাবি করছে, বাংলাদেশের মিটারবিহীন আবাসিক গ্যাস ব্যবহারকারীরা তাদের জন্য নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ৩৯%-৪৭% অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করছেন। গ্যাসের মাসিক বিল বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে ইতোমধ্যেই তিতাস একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

প্রস্তাবটি গৃহীত হলে এক চুলার ক্ষেত্রে মাসিক বিল হবে ১,৩৭৯ টাকা ও ডাবল চুলার হবে ১,৫৯১ টাকা।

আরও পড়ুন: পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একক দলের মাতবরি থাকবে না: নুর

দেশের ২৫.২৫ লক্ষ মিটারবিহীন আবাসিক গ্যাস ব্যবহারকারীর মাসিক বিল বাড়তে পারে। রাষ্ট্র-চালিত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ধারণা, গ্রাহকরা অনুমানের চেয়েও বেশি গ্যাস ব্যবহার করেন।

বর্তমানে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড একটি সিঙ্গেল চুলার জন্য মাসিক ৯৯০ টাকা এবং একটি ডাবলের জন্য ১,০৮০ টাকা চার্জ করে।

আরও পড়ুন: শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

সিঙ্গেল বার্নার এবং ডাবল বার্নারের ব্যবহারকারীরা প্রতি ইউনিট ১৮ টাকা হারে যথাক্রমে ৫৫ ইউনিট (ঘন মিটার) এবং ৬০ ইউনিট গ্যাসের জন্য বিল পরিশোধ করে। 

জানুয়ারিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার এবং রাজস্ব ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে গ্যাসের দাম ১৭৯% পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে সরকার। সেসময় আবাসিক, সিএনজি, সার এবং চা বাগানের ব্যবহারকারীদের জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি।

তিতাস গ্যাস তাদের প্রস্তাবে দাবি করেছে, মিটারবিহীন আবাসিক গ্যাসের গ্রাহকরা শুধু ঘরে রান্নার জন্য নয়, পানি ফুটানোর কাজেও গ্যাস ব্যবহার করেন। তাছাড়া শিল্প এলাকার শ্রমিকরা এবং যারা সাবলেটে ভাড়া থাকে তারা অন্যান্য পরিবারের তুলনায় গড়ে বেশি গ্যাস ব্যবহার করে থাকে।

গ্যাস রেগুলেশন কমিশনের কাছে তিতাস প্রস্তাব করেছে, মিটারবিহীন আবাসিক ব্যবহারকারীদের জন্য সিঙ্গেল বার্নারের পরিমাণ ৫৫ ইউনিট থেকে বাড়িয়ে ৭৬.৬৫ ইউনিট এবং ডাবল বার্নারের বেলায় ৬০ ইউনিট থেকে বাড়িয়ে ৮৮.৪৪ ইউনিট করা উচিত। 

তিতাসের প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, ২০২২ সালের শুল্ক আদেশে গ্যাসের পরিমাণ হ্রাসের কারণে কোম্পানির সিস্টেম লস বৃদ্ধি পেয়েছে । তারা লাভজনক সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও এখন আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে।