জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকরা আওয়ামী দুঃশাসনে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন: ডা. রফিক

Sadek Ali
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ন, ০৩ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ২:৩৩ পূর্বাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বিগত ১৬ বছর আওয়ামী দুঃশাসনে আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির প্রতিটি গণসংযোগ ও কর্মসূচিতে চিকিৎসকদের সক্রিয় উপস্থিতি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকরা।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে কিভাবে বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মী শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারণ করে এক অসম যুদ্ধে নেমেছে। তারা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল

বৃহস্পতিবার ( ৩ জুন) কুমিল্লার টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কুমিল্লা শাখার আয়োজনে জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থান ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে দিনব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন।

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

ডা. রফিক বিগত ১৬ বছরে বিএনপির নেতৃত্বে চলা আন্দোলন ও সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেন এবং উল্লেখ করেন যে, এই দীর্ঘ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, যেখানে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি সুসংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।

তিনি বলেন, অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ২,৬৯৯ জন, গুম হয়েছেন ৬৭৭ জন এবং কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন ১,০৪৮ জন। যাদের উল্লেখযোগ্য অংশই বিএনপির নেতা-কর্মী।

ডা. রফিকূল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার ঐতিহাসিক নেতৃত্বে স্বৈরাচার পতনের পর হয়ে উঠেছেন এক অবিসংবাদিত নেতা। 

জুলাই আন্দোলনকে চিরস্মরণীয় করে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও এমন কর্মসূচি জুলাই স্মরণে নিয়মিত আয়োজন করা হবে। একইসাথে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারা বাংলাদেশে জুলাই শহীদদের স্মরণে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সড়কের নামকরণ করা হবে। যেন জাতি এই অকুতোভয় যোদ্ধাদের চিরকাল স্মরণ রাখে। যুগে যুগে মানুষ তাদের আত্মত্যাগ মনে রেখে ভয়ংকর ফ্যাসিস্ট শাসনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা, ড্যাব নেতা ডা মো শরীফুল আলম,কুমিল্লা ড্যাবের তিন শাখার সভাপতি- সাধারন সম্পাদক এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ।