ভোটের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা: সিইসি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৫ অপরাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে তফসিল দেওয়া হবে ভোটের দুই মাস আগে। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৬ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করার জন্য ইসির প্রস্তুতি রয়েছে। সরকারের কাছ থেকে এখনও চিঠি না পেলেও কমিশন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন, "যত কঠিন সময় আসুক না কেন সবকিছু ঠিক থাকবে।"

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর

সিইসি একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জানান, কমিশনের প্রধান দায়িত্ব হবে সবার জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। ইসি নির্বাচনকে 'আয়নার মতো পরিষ্কার' করে বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় যে তাদের চেষ্টার কোনো ঘাটতি ছিল না।

নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে ইসি কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'ম্যাসিভ অ্যাওয়ারনেসের' মাধ্যমে ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ইসি উদ্যোগ নেবে। সিইসি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।

আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্তে সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের ব্যাংক হিসাব তলব

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, "কারো চেহারা দেখে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ হবে না।"

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, যেসব দল শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদের চিঠি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে যাদের কাগজপত্র ঠিক আছে, তাদের মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করা হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে।

ভোটার তালিকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত তরুণ ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল ও সব অংশীজনের (স্টেকহোল্ডার) সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন। এ বিষয়ে ইসির এক মাসের পরিকল্পনা রয়েছে।

সিইসি জানান, ইসির সামনে প্রধান দুটি চ্যালেঞ্জ হলো কেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে আসা এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ কাজের মাধ্যমেই জনগণের আস্থা ফিরে আসবে। রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নয়, ভোটারদের অংশগ্রহণ থাকলেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি কেউ চাপ প্রয়োগ করে, তাহলে পুরো আসনের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এছাড়াও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে, সে ব্যাপারেও ইসি উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান সিইসি।