সেনানিবাসের বাড়ি সাবজেল ঘোষণা প্রসঙ্গে ঢিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৪৫ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আদালত যেখানে রাখতে বলবে, আসামিকে সেখানে রাখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার হিসেবে ঘোষণা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “কোনো নির্দিষ্ট জায়গাকে সাব জেল (অস্থায়ী কারাগার) ঘোষণা করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে। কোন জায়গা জেল হিসেবে ঘোষণা হবে বা প্রিজন অথরিটির আওতায় যাবে, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমাদের কনসার্ন এখানে নয়। আমাদের দায়িত্ব হলো আইন অনুযায়ী কাজ করা। যখন কোনো আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন তা তামিল করবে, তখন কাউকে সরাসরি জেলে নেওয়ার কোনো বিধান নেই। আসামিকে গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আনতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আদালত যদি ফার্দার অর্ডার দিয়ে বলেন, আসামিকে কারাগারে পাঠানো হোক, তখন কেন্দ্রীয় কারাগার, জাতীয় সংসদ ভবন, এমপি হোস্টেল বা সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো স্থানে পাঠানো যেতে পারে। সেই স্থানে তাকে রাখা হলে তা কারাগার হিসেবে গণ্য হবে।”

আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা

উল্লেখ্য, ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করেছে সরকার। রোববার (১২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন উত্তর দিকের ‘এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’ সাময়িক কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। গ্রেপ্তারের মাধ্যমে তাদেরকে আগামী ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলাগুলোর মধ্যে ২৫ আসামি সেনাবাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা। এর মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত ও একজন এলপিআরে গেছেন। বাকি ১৫ জন বর্তমানে কর্মরত। ইতিমধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।