মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের নিয়ে নতুন নির্দেশনা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওয়ারিশদের তথ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব আখিনুর জাহান নীলা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টানবাজার থেকে ব্যাংকিং মাফিয়া ঝোলা শাহাবুদ্দিন
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার (জীবিত/মৃত) পারিবারিক/ওয়ারিশদের (পিতা, মাতা, সন্তান, স্ত্রী) তথ্য ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) সফটওয়্যারে সংরক্ষণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এমআইএস সফটওয়্যারে ওয়ারিশদের তথ্য সংরক্ষণ করার পদ্ধতি নিম্নরূপ।
মুক্তিযোদ্ধার তথ্য প্রদর্শিত প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার তথ্যের তালিকার সর্বশেষ আইকন, বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রোফাইলের ওয়ারিশ তথ্য।
আরও পড়ুন: জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কাঠামো প্রস্তুত, শিগগির জমা
উল্লেখ্য, জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে পারিবারিক সনদ এবং মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ওয়ারিশ সনদ আপলোড করতে হবে।
জীবিত ও মৃত ওয়ারিশ/সদস্যদের তথ্য পৃথকভাবে অ্যান্ট্রি করার অপশন রয়েছে (কপি সংযুক্ত)। জীবিত সব ওয়ারিশদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইপূর্বক ভেরিফাই করে ওয়ারিশদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মৃত ওয়ারিশের ক্ষেত্রে ওয়ারিশদের মৃত্যুসনদ, মৃত্যুর তারিখ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সেক্ষেত্রে মৃত ওয়ারিশদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই। সব ক্ষেত্রে একাধিক ওয়ারিশের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া ভাতাপ্রাপ্ত কোনো ওয়ারিশ মৃত্যুবরণ করলে তার তথ্য মৃত ওয়ারিশদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বিতরণ কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে ব্যবস্থাপক, সোনালী ব্যাংক. পিএলসি উল্লিখিত তথ্য অ্যান্ট্রি করবেন এবং সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুমোদন করবেন।
বর্ণিতাবস্থায়, এমআইএস সফটওয়্যারে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার (জীবিত/মৃত) ওয়ারিশদের তথ্যাদি আগামী ২ মাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।





