দাবি না মানলে শনিবার থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা প্রান্তিক খামারিদের

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ন, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৩:৪৮ অপরাহ্ন, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কর্পোরেট সিন্ডিকেটের অযাচিত প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণে পোলট্রি খাত মারাত্মক সংকটে পড়েছে দাবি করে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটি বলেছে, প্রান্তিক খামারিরা টানা লোকসানে টিকে থাকতে পারছেন না, অথচ সরকার বিষয়টি উপেক্ষা করে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিপিএ জানায়, আগামী ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে ধাপে ধাপে ডিম ও মুরগির উৎপাদন বন্ধ করা হবে, যদি না সরকার তাদের ৭ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়।

আরও পড়ুন: নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই: প্রেস সচিব

বিপিএর ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের পোলট্রি শিল্প থেকে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ৫০–৬০ লাখ মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল, যার মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ প্রায় ৪০% এবং বেকার শিক্ষিত তরুণদের বড় অংশ এ খাতেই কর্মসংস্থান খুঁজে পায়।

সংগঠনটির অভিযোগ, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন মিল, ভুট্টা, ভিটামিন প্রিমিক্স ও অ্যামিনো অ্যাসিডের দাম গত তিন বছর ধরে কমলেও বাংলাদেশের বাজারে উল্টো দাম বেড়েছে, যা সম্ভব হয়েছে কিছু নির্দিষ্ট কর্পোরেট গ্রুপের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। এ কারণে ফিড, বাচ্চা ও ওষুধের দাম লাগামহীন হওয়ার ফলে খামারিরা প্রতিদিন লোকসানের মুখে পড়ছেন।

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন খুললেও জাহাজ না চালানোর ঘোষণা, বিপাকে ভ্রমণপিপাসুরা

বিপিএ-এর ৭ দফা দাবি

১. কর্পোরেট সিন্ডিকেট ভেঙে ফিড, বাচ্চা, ওষুধ ও ভ্যাকসিনের দাম সরকারকে নির্ধারণ করতে হবে।

২. কর্পোরেট প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলা।

৩. নীতিনির্ধারণে প্রান্তিক খামারিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

৪. ফিড, বাচ্চা ও ওষুধের বাজারে নিয়মিত অডিট ও প্রকাশযোগ্য প্রতিবেদন চালু করা।

৫. উৎপাদন ব্যয়ের ওপর ন্যূনতম ১০% লাভ নিশ্চিত করে ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ।

৬. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য জামানতবিহীন ঋণ, প্রণোদনা ও ভর্তুকি প্রদান।

৭. নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কর্পোরেট-স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।