প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠালো মন্ত্রণালয়

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২১ পূর্বাহ্ন, ১০ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১:৩৮ অপরাহ্ন, ১০ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বছরে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর এই প্রস্তাবটি লিখিতভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এর আগে একই প্রস্তাব অর্থ বিভাগেও পাঠানো হয়। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন; নতুন কাঠামোয় তারা ১১তম গ্রেডে উন্নীত হলে প্রত্যেকের বেতন গড়ে কয়েক হাজার টাকা বাড়বে।

আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারি প্রেস সচিবের

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাজের পরিমাণ ও গুণগত মান আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা যৌক্তিক।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি ও পেশাগত মর্যাদা বিবেচনাতেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন অর্থ বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।”

আরও পড়ুন: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য ‘কূটনৈতিক সৌজন্যের পরিপন্থী

এদিকে, দশম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ’-এর ডাকে ৮ নভেম্বর (শনিবার) থেকে সহকারী শিক্ষকরা দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো—উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান, এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত। আন্দোলনের কারণে দ্বিতীয় দিনেও এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে এবং সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সহকারী শিক্ষকরা পুনরায় আন্দোলনে নেমেছেন।