কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:০২ পূর্বাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:০২ পূর্বাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম—দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভয়াবহ হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বিক্ষুব্ধ জনতার তাণ্ডবে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতের দিকে কয়েকশ বিক্ষোভকারী প্রথমে কারওয়ান বাজারের সিএ ভবনে অবস্থিত প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা ভবনের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করে।

আরও পড়ুন: ডেইলি স্টার ভবনের সামনে হেনস্তার শিকার নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর

ভবনের বিভিন্ন তলায় ঢুকে তারা চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটারসহ অফিসের আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জানালা দিয়ে নিচে ছুড়ে ফেলে। পরে নিচে জমা করা এসব সামগ্রীতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হামলাকারীরা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা পর্যন্ত উঠে তাণ্ডব চালায়।

একই সময় পার্শ্ববর্তী ডেইলি স্টার সেন্টারেও হামলা হয়। সেখানে ভবনের কাঁচ ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বিক্ষোভকারীরা। ডেইলি স্টারের ভবনের ভেতর থেকেও আসবাবপত্র ও নথিপত্র বের করে এনে সামনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুনের তীব্রতা ও কালো ধোঁয়ায় পুরো কারওয়ান বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে শাহবাগে জড়ো হচ্ছে ছাত্র-জনতা, মুখে উত্তপ্ত স্লোগান

হামলার সময় ভবনের ভেতরে থাকা বহু সাংবাদিক ও কর্মচারী নিরাপত্তার জন্য ছাদ কিংবা সুরক্ষিত কক্ষে আশ্রয় নেন। ডেইলি স্টারের সাংবাদিক আহমেদ দিপ্ত তার ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, “এমন লেট নাইট ডিউটি যেন কারও জীবনে না আসে। ছাদে আটকা পড়েছি, ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে।”

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য এলাকায় মোতায়েন করা হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কারওয়ান বাজার ও আশপাশের এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।