কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ সমর্থন ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের নেতারা বলেন, কোটার বিষয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে কোটার প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন তারা। তবে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে কিনা তা স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন: ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
এদিকে, ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নেতা রাসেলকে কোটাবিরোধী আন্দোলন ইস্যুতে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনের নেতারা।
কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র জারি করে সরকার। গত ৫ জুন সেই পরিপত্রের আংশিক অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এর ফলে সরকারি চাকরিতে আগের কোটা পদ্ধতি ফিরে আসে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন
এরপরই হাইকোর্টের আদেশ বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ, দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করছেন তারা। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
এরি মধ্যে বুধবার হাইকোর্টের আদেশে এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ। এই সময়ে সরকারি চাকরিতে কোটা থাকবে না। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদেরও ক্লাসে ফিরতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
আন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধ থেকে বিরত থাকার আহবান ছাত্রলীগেরআন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধ থেকে বিরত থাকার আহবান ছাত্রলীগের
কিন্তু এসবের কিছুই মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তারা আগের মতোই অবরোধ-কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা এখন নতুন দাবি তুলেছেন যে, আদালত নয়, সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে।