বিপ্লবের একশ দিন পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের প্রয়োজন কেন, প্রশ্ন মঈন খানের

অন্তবর্তীকালীন সরকার একশ দিনের মাথায় সরকার কেনো ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলো এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, তাদের যে ভিত্তি ডকট্রিন অর নেসেসিটি দিয়েই নির্ধারিত হয়ে গেছে। এখানে কোন আইনের প্রশ্ন তোলা অবান্তর। তাহলে কি এ সরকার তিনমাস পরে এসে কোন কারণে তারা নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন বা চিন্তিত?
তিনি বলেন, তারাতো ছাত্রজনতার ম্যান্ডেট নিয়েই এসেছে। এবং ছাত্রজনতার প্রত্যাশা এ সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশকে স্বৈরশাসন থেকে গণতান্ত্রিক শাসনে রূপান্তরিত করা।
আরও পড়ুন: আমরা কি জুলাই আন্দোলনে ললিপপ খাচ্ছিলাম: রিজভী
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর মোমিনবাগে ডেমোক্রেসি অডিটোরিয়ামে দ্যা মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটি আয়োজিত "ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ১০০দিন" শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, জনগণ আসা করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সত্যিকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব তুলে দিবেন। এ দায়িত্ব পালনে দেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সকল প্রকার সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুতরাং এ সরকারকে আইনগত বৈধতা দেওয়ার জন্য কোনো ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ফের জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার জনগণের শক্তিতে বলিয়ান এবং একটি নৈতিক দায়িত্ব পালনে দেশবাসীর আহবানে তারা এগিয়ে এসেছে।
মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব গর্ভনেন্স অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকারের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ সংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণফোরামের একাংশের মহাসচিব সুব্রত চৌধুরী, প্রফেসর রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ড. অভিনয় চন্দ্র সাহা, প্রফেসর সাজ্জাদুল হক, প্রফেসর হুমায়ুন পাটোয়ারী, শামসুল আলম লিটন, শাখায়াত হোসেন শান্তা প্রমুখ।