নিরাপদ বাংলাদেশ, প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে চাই: তারেক রহমান
বেলা ৩টা ৫১ মিনিটের দিকে তারেক রহমান মঞ্চে ওঠেন। বেলা ৩টা ৫৭ মিনিটে তিনি বক্তব্য শুরু করেন। শুরুতেই বলেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশ। তিনি তার বক্তব্যের শুরুর দিকে বলেন, ‘একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার।’
তারেক রহমান বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ থেকে যারা এই অনুষ্ঠানটি দেখছেন, প্রিয় ভাই ও বোনেরা, প্রিয় মা ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আজ প্রথমেই আমি রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাজার লক্ষ কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে চাই। তাঁর অসীম রহমতে আজ আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি আপনাদের দোয়ায়, আপনাদের ভালোবাসায়।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি একাত্তর সালে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। একইভাবে পঁচাত্তরে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে নব্বইয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এ দেশের জনগণ এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছিল।
একাত্তর সালে এই দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, তেমনি ২০২৪ সালেও এদেশের ছাত্র-জনতা, সর্বস্তরের মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, গ্রাম ও শহরের নারী-পুরুষ, মাদ্রাসা ছাত্রসহ দল-মত নির্বিশেষে, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল।
সেদিন ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ চায় তারা মাথা উঁচু করে বাঁচতে।
সকলে মিলে দেশ গড়তে হবে। এই দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছে, তেমনি সমতলের মানুষ আছে। এই দেশে মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। আমরা চাই সকলে মিলে একসঙ্গে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই যে বাংলাদেশে একজন মা স্বপ্ন দেখতে পারেন। অর্থাৎ, একটি নিরাপদ বাংলাদেশ। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, এই দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, চার কোটিরও বেশি তরুণ প্রজন্মের সদস্য, প্রায় পাঁচ কোটির মতো শিশু, চল্লিশ লক্ষের মতো প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছেন। প্রায় এক কোটি কৃষক-শ্রমিক রয়েছেন। এই মানুষগুলোর রাষ্ট্রের কাছে একটি প্রত্যাশা আছে, একটি আকাঙ্খা আছে।
তারেক রহমান আরও বলেন, আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে পাহাড়ের, সমতলের, মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, পুরুষ, শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে, যেন নিরাপদে ফিরতে পারে।
শহীদ ওসমান হাদিকে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ওসমান হাদি চেয়েছিলেন এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ৭১ এ যারা শহীদ হয়েছে, ২৪ এ যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
তরুণ প্রজন্মই আগামীতে দেশ গড়ে তুলবে বলেন তিনি। গণতান্ত্রিক, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দেশকে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি। তিনি পরপর তিনবার বলেন আমরা দেশের শান্তি চাই।
মার্টিন লুথার কিং–এর ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ উক্তির উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান।’ দেশকে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা তাঁর প্রয়োজন। তাহলে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলেন তিনি। তারেক রহমান এ সময় মা বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
তারেক রহমান বলেন, ‘সবাই মিলে করব কাজ, গড়বো মোদের বাংলাদেশ।’ তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।





