হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

কাল পবিত্র হজ, লাব্বাইক ধ্বনিতে হাজিরা এখন তাঁবুর শহর মিনায়

Sadek Ali
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৪২ পূর্বাহ্ন, ০৪ জুন ২০২৫ | আপডেট: ৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, ০৪ জুন ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পবিত্র হজের অংশ হিসেবে হাজিরা মিনায় এসেছেন। গতকাল রাতে হজের ইহরাম বেঁধে দলে দলে মিনায় আসেন তারা। আজ সকালেও আসছেন অনেকে। সবার মুখে মুখে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি।

হজযাত্রীরা আজ ৮ জিলহজ (৪ জুন) জোহর থেকে আগামীকাল ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করে মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। ফজরের নামাজ আদায় করার পর তারা রওনা দেবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে। আরাফার ময়দানেই হজের খুতবা প্রদান করা হয়। এবার হজের খুতবা দেবেন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ।

আরও পড়ুন: ইসলামে ভূমিকম্প ও করণীয়

মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মিনা। মিনায় যে দিকে চোখ যায় তাঁবু আর তাঁবু। চৌচালা ঘরের মতো তাঁবুতে সময় কাটাচ্ছেন হাজিরা। পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক তাঁবু। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে প্রত্যেকের জন্য আলাদা ফোম, বালিশ, কম্বল বরাদ্দ। মিনায় রাতযাপন জীবনের এক পরম পাওয়া। হাজিরা নিজ নিজ তাঁবুতেই নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত করছেন।

৯ জিলহজ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কুরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের সময় মুসলমানরা যে দোয়া পাঠ করে