ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
দিন দিন বাড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বায়ুদূষণ। ঢাকার বাতাসও দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। বৃহস্পতিবার ( ২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ১৬৩। এ বাতাস অস্বাস্থ্যকর হিসেবে গণ্য করা হয় এবং ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অন্তঃসত্ত্বা।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ ধেয়ে আসছে, বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকার বায়ু আজ অস্বাস্থ্যকর। এই বায়ু যেকোনো মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। আজ ঢাকা ও আশপাশের যে তিন অঞ্চলের দূষণ পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত বেশি খারাপ, সেগুলোর মধ্যে আছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এলাকা, সাভারের হেমায়েতপুর ও ইস্টার্ন হাইজিং–২।
আরও পড়ুন: ঢাকায় কমছে দিনের তাপমাত্রা, শুষ্ক আবহাওয়া থাকার পূর্বাভাস
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। এদিকে, আজ বায়ুদূষণের যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে আইকিউএয়ারের পরামর্শগুলো হলো- ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।





