গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ, প্রতিবাদে মানববন্ধন

Abid Rayhan Jaki
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ন, ১৪ মে ২০২৪ | আপডেট: ৫:১২ অপরাহ্ন, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পাবনার চাটমোহর ছাইকোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে ছাইকোলা বাজার এলাকায় শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, ছাইকোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন মামুন প্রমুখ। মানববন্ধনে ওই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীসহ এলাকার শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম স্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের না জানিয়ে নিজের পছন্দমতো লোকদের নিয়ে কোনো নির্বাচন ছাড়াই গোপনে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে বোর্ডে পাঠিয়েছেন অনুমোদনের জন্য। শুধু তাই নয়, ওই কমিটিতে যাকে সভাপতি হিসেবে দেখানো হয়েছে তিনি এসএসসি পাসও না। পাঁচ বছর ধরে অ্যাডহক কমিটি দ্বারা স্কুল পরিচালনা হয়ে আসছিল।
অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগসাজশ করে এভাবে গোপনে কমিটি গঠন করেছেন। এদিকে এর আগে প্রধান শিক্ষকের মনগড়া ওই কমিটি যেন অনুমোদন না পায় সেজন্য ওই স্কুলের ১১ জন শিক্ষক-কর্মচারী রাজশাহী বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, 'আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই সবকিছু করেছি। অভিযোগ সত্য নয়। আর স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের বোর্ডে অভিযোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্কুলের দু'চারজন তো বিরুদ্ধে থাকবেই। তিনি যা করেছেন, সঠিকভাবে করেছেন বলে দাবি করেন।'
 
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী এ বিষয়ে বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল যথাসময়ে। এটা প্রচার-প্রচারণার দায়িত্ব ছিল প্রধান শিক্ষকের। তিনি (প্রধান শিক্ষক) পরবর্তীতে আমার কাছে কমিটি গঠন করে কাগজপত্র দাখিল করেন। পরে কমিটির সদস্যদের নিয়ে মিটিং করে সেটির রেজুলেশন করে অনুমোদনের জন্য প্রধান শিক্ষক বোর্ডে পাঠিয়েছেন বলে জেনেছি।

তিনি বলেন, এখানে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তবে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। এখানে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে ব্যক্তিগত কোনো ইন্টারেস্ট নেই বলে দাবি করেন তিনি।

নির্বাচন হলো কি না, সবকিছু না দেখে, যাচাই বাছাই না করে কমিটির প্রস্তাবনা বোর্ডে পাঠানো হলো কিভাবে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি শিক্ষা কর্মকর্তা।