কুমিল্লায় বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৮

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৪৭ অপরাহ্ন, ০৩ অগাস্ট ২০২৪ | আপডেট: ১২:৪৫ অপরাহ্ন, ০৩ অগাস্ট ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কুমিল্লায় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক দেখলেই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মারধর এবং বিক্ষোভ মিছিল লক্ষ্য করে গুলি করতে দেখা গেছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ৮ জন গুলিবিদ্ধ ও প্রায় ২৫ জন এর বেশি শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুপুরে মিছিল নিয়ে কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায় অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পুলিশ লাইন্সের ভেতর ও আশপাশের বিভিন্ন বাসায় অবস্থান নেয়। ওই সময় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ছাত্রলীগ নেতাদের গুলি করতে দেখা যায়। 

আরও পড়ুন: দেশ শান্ত থাকলে যাদের মন খারাপ হয় তারাই পিআর চায়: ড. মনিরুজ্জামান

এর আগে সকালে নগরীর কান্দিরপাড় জিলা স্কুলের সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরপূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। সেখানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

এদিন সকাল থেকেই কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

আরও পড়ুন: এদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই: খোকন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জিলা স্কুল, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল, কুমিল্লা হাই স্কুল, কুমিল্লা মডার্ন স্কুলসহ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন ও জামাল উদ্দিন বলেন, এটা আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি। আমরা কুমিল্লা মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখানে অংশ নিয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। অন্যায়ভাবে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা ও গুলি চালিয়েছে।

এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এ বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কারও মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মারা যাওয়ার বিষয়টি গুজব। 

তিনি বলেন, ঘটনার সময় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী প্রাণ ভয়ে পুলিশ লাইন্সের ভেতর আশ্রয় নেয়, আমরা তাদের উদ্ধার করে গাড়িতে বাসায় পৌঁছে দিয়েছি।