সুলতানি আমলের অপূর্ব স্থাপত্য নিদর্শন হবিগঞ্জের উচাইল গ্রামের শংকরপাশা শাহী মসজিদ

Any Akter
নুরুজ্জামান ভূইয়া, হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রায় ৬০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক হয়ে আছে চুন-সুরকি আর লাল ইট দিয়ে তৈরী হবিগঞ্জের উচাইল গ্রামের শংকরপাশা শাহী মসজিদ। জেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের উচাইল গ্রামে ছয় একর বিস্তৃত ভূমিতে একটি টিলার উপর মসজিদটি- অবস্থিত। বাংলাদেশের সুলতানি আমলের অপূর্ব স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম এই শাহী মসজিদ। সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের রাজত্বকালে সম্ভবত ১৪৯১ থেকে ১৫১৯ খ্রিষ্ঠাব্দের মধ্যে কোন এক সময়ে মসজিদটি নির্মিত হয়। 


আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা তালায় ঘেরের আইলে সবজি চাষ, কৃষিতে সম্ভাবনার হাতছানি

কালের সাক্ষী এই মসজিদের পাশেই রয়েছে এর নির্মাতার সমাধি। কালের বিবর্তনে একসময় এই মসজিদটি- হারিয়ে গিয়েছিল ঘন অরণ্যে। জনবসতির শুরুর পর আবাদ বারতে গিয়ে স্থানীয়রা আবিষ্কার বকরেন মসজিদটি। গভীর- জঙ্গল থেকে আবিষ্কৃত হওয়ায় স্থানীয়দের কাছে এটি গায়েবি মসজিদ নামে ও পরিচিত। প্রাচীন আমলের কারুকার্য এবং নকশায় সাজানো মসজিদের ভেতর ও বাইরের দেয়াল। অপরূপ নকশার মাঝে মাঝে আরবী ক্যালিওগ্রাফি ও লক্ষনীয়। 


আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে এইচ. এম. রহমত উল্লাহ পলাশ

বর্গাকৃতির মসজিদটির মূলভবনের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ২১ ফুট এবং সামনের বারান্দার প্রস্থ ৩ ফুটের ও বেশি। চার -গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির মূল ভবনের উপর একটি বিশাল গম্বুজ এবং বাকী তিনটি গম্বুজ বারান্দার উপর। অনন্য নির্মাণ শৈলির মসজিদটিতে সমান আকৃতির মোট ১৫ টি দরজাও জানালা রয়েছে। প্রায় ত্রিশ বছর আগে প্রত্নতাত্বিক বিভাগ এর রক্ষ¥াবেক্ষন এর দায়িত্ব গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন কর্তৃক কিছু কিছু সংস্কার ও পরিলক্ষিত হয়। পোড়ামাটির ফলক ও নান্দনিক কারুকাজ এবং অসাধারণ নির্মাণশৈলী-সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করে অগণিত দর্শনার্থী।