কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ কান্ডে বিভাগীয় এবং দুদকের তদন্ত শুরু

Any Akter
কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৮:২৪ অপরাহ্ন, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ৫:৫০ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগিদের ওষুধ সরবরাহ না করে ফেলে রেখে মেয়াদ উত্তীর্ণের ঘটনায় গঠিত বিভাগীয় তদন্ত কমিটি এবং গাজীপুর দুদক স্টোর রোম পরিদর্শন করেছেন। ২৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ৩ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চতর তদন্ত কমিটি এবং দুদক টিম পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করেছেন। 

সম্প্রতি কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ লাখ টাকার ওষুধ রোগিদের সরবরাহ না করে ফেলে রাখায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এই মর্মে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও মাল্টিমিডিয়ায় প্রচার করা হয়। ফলে গত ২১ এপ্রিল ঢাকা বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. জমির মো. হাসাবুস ছাত্তার স্বাক্ষরিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। 

আরও পড়ুন: কৃষক দল নেতা খন্দকার নাসিরের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারেক রহমানের কাছে মহিলা দলনেত্রীর আবেদন

তদন্ত কমিটিতে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান খানকে সভাপতি, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. জমির মো. হাসাবুস ছাত্তারকে সদস্য এবং উপপরিচালক ডা. মো. হারুন অর রশিদকে সদস্য সচিব করা হয়। কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত পূর্বক সুস্পষ্ট সুপারিশ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। 

এই মর্মে তদন্ত কমিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে এসে পাশে আবাসিক ভবনের দুইটি ফ্লোরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেখতে পান। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান এবং বর্তমান গাজীপুর সিভিল সার্জন ও তৎকালীন কাপাসিয়ার ইউএইচও

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

ডা. মো. মামুনুর রহমান। 

এছাড়া গাজীপুর দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত টিম এবং দুদক টিম সাবেক ষ্টোর কিপার আব্দুর রাজ্জাক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের আলাদাভাবে বক্তব্য গ্রহণ করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া বলেন, কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ কাণ্ডের বিষয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। ওষুধ সংরক্ষণের রেজিস্টার যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালনে কারো গাফিলতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা হবে।