অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে হাসপাতালের তত্বাবধায়কসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্বাস্থ্যসেবায় অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, নৈরাজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আউটসোর্সিং এ লোকবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সুনামগঞ্জে ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের পরিচালক সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন হাসপাতালের সাবেক ওয়ার্ডবয় তৌহিদ মিয়া।
আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত
নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, নৈরাজ্য, অব্যবস্থাপনা, ক্ষমতার অপব্যবহার, হাসপাতালে অনুপস্থিত থেকে বেতন উত্তোলনসহ ২২ টি অভিযোগে মামলা দায়ে করা হয়। মামলাটি স্পেশাল পিটিশন ০৯/২০২৫ হিসাবে নম্বরভুক্ত করা হয়েছে।
দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারাসহ দ. বি. আইন, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৪/৪০৬/৪২০/১০৯/৫০৬(২)/৩৪ ধারায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সহ ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান স্বপন। সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সদস্য পৌর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন। সাজিদুর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক সুনামগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ। জুবায়ের আহমদ মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান। নয়ন দাস হেলথ্ এডুকেটর। শফিকুল ইসলাম সাবেক যুবলীগ নেতা। এ কে আজাদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গাউসিয়া ট্রেডার্স সিকিউরিটি ক্লিনিং এন্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস। মামলার কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আমিরুল হক বলেন, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সুনামগঞ্জ বাংলাদেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা সহ মৌলিক সকল নাগরিক অধিকার থেকে এমনিতেই পিছিয়ে রয়েছে। সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা। অথচ হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন, ডায়ালাইসিস মেশিন দীর্ঘদিন থেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করে রাখা হয়েছে। জরুরি পরিষেবার অংশ এ্যাম্বুলেসের সরকারি ড্রাইভার থাকলেও বছরের পর বছর ধরে নেই এ্যাম্বুলেন্স। গরীব অসহায় মানুষকে দেওয়া হচ্ছে না কোনো সেবা। এক কথায় দুর্নীতিতে নিমজ্জিত সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার