ছাত্রীদের অশালীন মন্তব্যে ছাত্রদল নেতার পদ স্থগিত, রাবিতে বিক্ষোভ

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:২১ পূর্বাহ্ন, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:২১ পূর্বাহ্ন, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীদের নিয়ে ছাত্রদলের এক নেতার অশালীন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে জুলাই-৩৬ হল। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে হলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন হলের ছাত্রীরা।

তাদের স্লোগান ছিল—‘ইভটিজারের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘নারীদের বুলিং করে, প্রশাসন কী করে?’, ‘ইভটিজারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’।

আরও পড়ুন: তারেক রহমান-এর সহযোগিতায় সুস্থ জীবনের পথে ছোট্ট রাতুল

ছাত্রীরা তিনটি দাবি উত্থাপন করেছেন—

১. অভিযোগপ্রাপ্ত আনিসুর রহমানের স্থায়ী বহিষ্কার, মনোনয়নপত্র বাতিল এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা,

আরও পড়ুন: দেশ শান্ত থাকলে যাদের মন খারাপ হয় তারাই পিআর চায়: ড. মনিরুজ্জামান

২. সাইবার বুলিং সেল গঠন,

৩. ফেসবুকে অশালীন মন্তব্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা।

অভিযুক্ত আনিসুর রহমান মিলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল তার পদ স্থগিত করে এবং সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে আছেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাকিলুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “প্রাথমিকভাবে আনিসুর জানিয়েছেন তার আইডির নিয়ন্ত্রণ তার কাছে ছিল না। তবে তদন্তে যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হবে।”

রাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। অভিযুক্তকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার ৯১ ছাত্রীকে প্রাধ্যক্ষের অফিসে নোটিশে তলব করার ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরের দিন হল প্রশাসন অনিবার্য কারণে নোটিশটি প্রত্যাহার করে। এরপর আনিসুর রহমানের আইডি থেকে নোটিশের ছবিতে অশালীন মন্তব্য করা হয়, যা বিক্ষোভের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।