বাঁশখালীতে নিম্নমানের বালু ও ইট-খোয়া দিয়ে নির্মাণ হচ্ছে গণশৌচাগার

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার দারোগাবাজার এলাকায় গণশৌচাগার নির্মাণে নিম্নমানের ইট-খোয়া, বালু ব্যবহার ও রড বাইন্ডিং জয়েন্ট ভেঞ্চারে ক্রটি রেখে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট জনস্বাস্থ্য আবাসিক প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে দীর্ঘ সময় এসব অনিয়ম করে আসছিলেন ঠিকাদার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘দারোগাবাজার গণশৌচাগার নির্মাণে দীর্ঘ সময় ধরে নিম্নমানের কাদাযুক্ত বালু ও ইট-খোয়া দিয়ে ঢালাই দিয়েছেন ঠিকাদার। পিলারে রড বাইন্ডিং এর জয়েন্ট ভেঞ্চারে ক্রটি ও লোহায় জং ধরে গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বারবার বললেও তারা কোন কর্ণপাত করেননি। উল্টো জনস্বাস্থ্যের আবাসিক প্রকৌশলী মো. আশেকের উপস্থিতিতে এসব অনিয়ম করে আসছিলেন ঠিকাদার।'
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সীমান্তে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ করেছে বিজিবি
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদুল আলম। এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ, পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজী আরফাত, উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী সঞ্চিত সরকার উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন ইউএনও।'
জানা যায়, ‘বিশ্ব ব্যাংকের ৩০ পৌরসভায় সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা প্রকল্পে ২০২৪ সালে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দে বাঁশখালী পৌরসভার দারোগা বাজার, থানা ও মিয়ার বাজার এলাকায় ৩টি গণশৌচাগার নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাকী এন্টারপ্রাইজ। গণশৌচাগার নির্মাণের সময় শেষ হয়ে উল্টো ছয় মাস অতিবাহিত হলেও ৫০ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ আছে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে কাজটি করছেন বোখারী আজম নামে এক ঠিকাদার।
আরও পড়ুন: কাপাসিয়ায় বিএনপি নেতা শাহ রিয়াজুল হান্নানের ব্যাপক গণসংযোগ
স্থানীয় আব্দুল করিম বলেন, ‘নির্মাণ কাজে সিলেটের ২.৫ পয়েন্টের বালু ব্যবহার করার কথা থাকলেও তারা স্থানীয় নিম্নমানের বালু ব্যবহার করেন। যে সব কংক্রিট ব্যবহার করা হচ্ছে সেইগুলো মাটি থেকেও দুর্বল। অনিয়মের যেন শেষ ছিল না। আমাদের দাবি আগের সব কাজ বাতিল করে নতুন করে আবার কাজ করতে হবে।'
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক জামশেদুল আলম বলেন, ‘আমরা নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে ঢালাইয়ের রেশিওতে নিম্নমানের বালু ও ইট-খোয়ার উপস্থিতি পেয়েছি। রড় বাইন্ডিংয়েও ক্রটি পাওয়া যায়। সাথে সাথে কাজটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। একই সাথে কাজের তদারকিতে থাকা প্রকৌশলীর গাফিলতি থাকায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তার কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করব।'#