সিলিং ও লাকড়ির স্তুপে অভিনব কায়দায় লুকানো ছিল ভারতীয় মদ

হবিগঞ্জে ৫৫ বিজিবির অভিযানে বিপুল মাদক জব্দ

Sanchoy Biswas
নুরুজ্জামান ভূইয়া, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ন, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হবিগঞ্জে ৫৫ বিজিবির অভিযানে বিপুল মাদক জব্দ। ছবিঃ সংগৃহীত
হবিগঞ্জে ৫৫ বিজিবির অভিযানে বিপুল মাদক জব্দ। ছবিঃ সংগৃহীত

হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) সীমান্ত এলাকায় পৃথক দুটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদ জব্দ করেছে। বৃহস্পতিবার (গতকাল) রাতের এ অভিযানে মোট ৪৮০ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক সিজারমূল্য প্রায় ৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা।

৫৫ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ১৯৪৩—৩৫ এস থেকে প্রায় ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুঞ্জবন এলাকায় শাহজাহান মিয়া ও দুলাল মিয়ার বাড়িতে বিপুল পরিমাণ মাদক মজুত রাখা হয়েছে—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বিশেষ টহল দল বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালায়।

আরও পড়ুন: কুমিল্লা সীমান্তে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ করেছে বিজিবি

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পরিচালিত অভিযানে মো. শাহজাহান মিয়া (৩৫) ও দুলাল মিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ঘরের সিলিং এবং বাড়ির পেছনের খড়ির মাচার ভিতর অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৪৩৭ বোতল ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামী মদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মদের আনুমানিক সিজারমূল্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা।

অভিযানের সময় মাদক ব্যবসায়ীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পলাতক আসামিরা হলেন—মো. শাহজাহান মিয়া (৩৫), পিতা: মো. চান মিয়া, মো. দুলাল মিয়া (৩০), পিতা: মো. আব্দুল হামিদ, উভয়ের ঠিকানা: গ্রাম—কুঞ্জবন, ডাকঘর—জানাউড়া, থানা—শ্রীমঙ্গল, জেলা—মৌলভীবাজার। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান আইনে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন: কাপাসিয়ায় বিএনপি নেতা শাহ রিয়াজুল হান্নানের ব্যাপক গণসংযোগ

এছাড়া হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ৫৫ বিজিবির আরেকটি পৃথক অভিযানে ৪৩ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক সিজারমূল্য ৬৪,৫০০ টাকা।

৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান বলেন, “দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও সমাজকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে বিজিবি সবসময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সকল ধরনের চোরাচালান এবং মাদকের বিরুদ্ধে ৫৫ বিজিবি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ তথা বিজিবি হলো জনগণের আস্থার প্রতীক, আর সেই আস্থাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”

জব্দকৃত মাদক আইনানুগ প্রক্রিয়ায় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি মাদক চোরাচালান চক্রকে শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করেছে বিজিবি।