রামগঞ্জে খানাখন্দে ভরা দুই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা, হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আঙ্গারপাড়া জামতলী সড়কে খানাখন্দে ভরা দুই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার কারণে হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আঙ্গারপাড়া পাকার মাথা থেকে জামতলী বাজার দুই কিলোমিটার সড়কে সহস্রাধিক গর্ত ও খানাখন্দে সয়লাব হয়ে গেছে। বর্তমানে সড়কটির এমন লজ্জাজনক অবস্থা যে পায়ে হেঁটেও চলাফেরা করা যায় না। গত ১৮ আগস্ট এ সড়ক দিয়ে বিলকিস (২৮), রহিমা বেগম (২৬) নামের দুইজন প্রসূতি মা রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসার পথে রাস্তার গর্তের ঝাঁকুনিতে সিএনজিতেই বাচ্চা প্রসব করেন। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার পলাশ জানান, আমি প্রসূতি রোগীদেরকে নিয়মিত চেকআপ করানোর জন্য হাসপাতালে আনার পথেই তারা বাচ্চা প্রসব করেন।
টামটা ওয়ার্ড সভাপতি কাউছার হোসেন জানান, পৌর আঙ্গারপাড়া পাকার মাথা থেকে জামতলী সড়কটি দুই কিলোমিটার। বর্তমানে এই সড়কটি এলাকার মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থী মনির, ব্যবসায়ী আলী আহম্মদ ও রফিক মিয়াসহ স্থানীয় লোকজন জানান, বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় সড়কটির পিচঢালাই উঠে গিয়ে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ছোট-বড় গর্তে ভরে গেছে সড়কটি। অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে মূল সড়কসহ পাশে সংযোগ সড়ক ডুবে থাকে পানির নিচে। টামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমেনা বেগম বলেন, পৌরসভার পাকার মাথা হতে জামতলা সড়কটি দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে জনবহুল রাস্তা, বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে যায়। সড়কের এমন দৈন্যদশার কারণে এ এলাকার মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে একাই দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজ, জনদুর্ভোগ চরমে
অটোরিকশা চালক আবদুর রহমান জানান, এ সড়কে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। আমাদের কষ্টগুলো দেখার কেউ নেই। সড়কের বেহাল দশার কারণে রিকশা চালকরা এ সড়ক দিয়ে যেতে চায় না। ফলে আমরা খুব কষ্ট করে পায়ে হেঁটে যেতে হয়। তাই আমরা কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।