সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের দাম কমলো কেজিতে ৩০ টাকা

Sadek Ali
সৈয়দ আব্দুস সালাম পান্না, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:০৪ অপরাহ্ন, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সরকারিভাবে অনুমতির ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই সাতক্ষীরার পাইকারি বাজারে দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। নতুন মৌসুমের দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা এবং সরকারের আমদানির অনুমতির পর এই দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়িরা। নিত্য প্রয়োজনীয় এই মসলা জাতীয় পণ্যটির দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, রোববার পর্যন্ত কেজি প্রতি ১৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া পুরাতন পেঁয়াজ এখন ১১০ টাকায় এবং ১০০ থেকে ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবং নতুন মেহেরপুর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি।

আরও পড়ুন: দেশের সংকটে সশস্ত্র বাহিনী সবসময় জনগণের পাশে: নৌবাহিনী প্রধান

ব্যবসায়ীরা জানান, পুরো বছর দেশি পেঁয়াজের মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটেছে। ফলে কৃষকরা এবার ন্যায্যমূল্য পেয়েছেন এবং বৈদেশিক মুদ্রারও সাশ্রয় হয়েছে। কিন্তু মৌসুমের শেষ দিকে কিছু ব্যবসায়ির অধিক মুনাফার আশায় উচ্চ মূল্যের চেষ্টা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছিল। তাই সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাতারাতি দাম কমে গেছে।

ক্রেতারা জানান, সরবরাহ কমের অজুহাতে হঠাৎ করে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এতে আমাদের কিনতে সমস্যা হয়। এত টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কিনলে আরও অন্যান্য বাজার কী দিয়ে করব। দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ এবং ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় শীতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা

পেঁয়াজ বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েক দিন থেকে পেঁয়াজের বাজার বাড়তি। এসময় আমরা প্রতিদিন অল্প অল্প পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করেছি। ভারত থেকে আমদানির খবরে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এতে করে আমরা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারছি এবং কম দামে খুচরা বাজারে বিক্রিও করছি।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এটি অল্প পরিসরে। প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। সরকারের কাছে অনুরোধ পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। তাহলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে।

ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, সরকারিভাবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরই রোববার বিকালে ভোমরা বন্দর দিয়ে এক গাড়িতে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসেছে।