অপরাজনীতির হাত থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য শক্ত নেতৃত্ব চাই

বাংলাদেশ কখনোই রাজনৈতিক ডাকাতদের আশ্রয়স্থল হিসেবে তৈরি হয়নি। এই দেশ কখনো দুর্নীতিবাজদের ব্যবসা চালানোর জন্য নির্মিত হয়নি। আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নের মূল ভিত্তি ছিল গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার। অথচ আজকের বাংলাদেশ সেই স্বপ্নকে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, যেখানে রাজনীতি সমানার্থক হয়েছে অপরাধের, গণতন্ত্র মানে প্রতারণা, আর জনগণ মানে শোষণ।
প্রতারণার নামে গণতন্ত্রঃ-
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের তিন-শূন্য তত্ত্ব: বৈশ্বিক স্লোগান, জাতীয় নীরবতা
বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজ মৃত। নির্বাচন মানে জালিয়াতি, প্রতিষ্ঠান মানে দখল, আর জনগণের কণ্ঠ মানে নীরবতা। যারা নিজেদের “জনপ্রতিনিধি” বলে দাবি করে, তারা আসলে জনগণের নয়—তাদের স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্য কেবল তাদের পরিবার, গোষ্ঠী ও চক্র। গণতন্ত্র এখানে এক নির্মম প্রহসন, যা লুটপাট এবং দখলের ছদ্মবেশ।
লুটপাট ও সহিংসতার রাজনীতিঃ-
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অর্থনীতির সংস্কার, সময়ের বড় দাবি
আজ আমরা যা “রাজনীতি” বলি, তা আসলে এক বিশাল অপরাধ সাম্রাজ্য। রাজনৈতিক দলগুলো আর জনসেবার কেন্দ্র নয়; তারা চাঁদাবাজ, ভূমি দস্যু, কালো টাকার মালিক এবং খুনিদের আশ্রয়স্থল। দলীয় পরিচয় মানে লুটপাটের লাইসেন্স, সন্ত্রাসের ছাতা। খুন, অপহরণ, গুম এবং ভীতি সৃষ্টির কাজ এখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নিয়মিত হাতিয়ার।
নীতি-আদর্শের উচ্ছেদঃ-
ন্যায়, জবাবদিহিতা এবং সেবা এসব শব্দ আজ আর রাজনীতির অভিধানে নেই। সেগুলোর স্থানে এসেছে ঘুষ, দখল এবং প্রতারণা। পুলিশ, আদালত, নির্বাচন কমিশন এবং সংসদ সবগুলোই দলীয় দখলে চলে গেছে। রাজনীতির নৈতিক পতন রাষ্ট্রকে দুর্বৃত্তের হাতে তুলে দিয়েছে।
ব্যবসা হিসেবে রাজনীতিঃ-
বাংলাদেশে রাজনীতি এখন আর জনসেবার বিষয় নয়; এটি সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হয়ে গেছে। বিনিয়োগ হলো সহিংসতা এবং দুর্নীতি; প্রতিফলন হলো ক্ষমতা, ধন ও প্রভাব। দলগুলো কর্পোরেশনের মতো কাজ করে নেতা হলো চেয়ারম্যান, অনুসারীরা হলো শেয়ারহোল্ডার, আর জনগণ হলো শিকার।
অপরাধীদের দখলে দেশঃ-
আমাদের রাজনীতির মঞ্চে ভরা আছে অশিক্ষিত, অযোগ্য, নৃশংস ও দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। তাদের কোনো জ্ঞান, দূরদৃষ্টি বা দেশপ্রেম নেই। তারা জাতীয়তাবাদী স্লোগান উচ্চারণ করে দেশ বিক্রি করছে। তারা গণতন্ত্রের শপথ নেয়, অথচ তা ধ্বংস করছে। এরা রাষ্ট্রনেতা নয় স্যুট পরা অপরাধী , রাষ্ট্রের প্রকৃত শত্রু।
বাংলাদেশে একজন নিম্নপদস্থ সরকারি কর্মচারীর জন্য ন্যূনতম শিক্ষা বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজনীতিতে আসতে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান প্রয়োজন নেই। বরং প্রয়োজন হয় মিথ্যাচার, লুটপাট, গুন্ডামি, চুরি, খুন, বোমা হামলা, পেশিশক্তি এবং ভোটারকে ভয় দেখিয়ে প্রতারণার দক্ষতা। রাজনীতি এখন এক অপরাধী দক্ষতার খেলা।
কেন সবাই রাজনীতিতে ঢুকেঃ-
অন্য খাতে সীমিত সুযোগ এবং সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা দুর্নীতির কারণে, রাজনীতি সহজতম ধনী হওয়ার পথ হিসেবে দেখা হয়। কোনো শিক্ষা বা যোগ্যতা লাগে না শুধু দলীয় পতাকার নিচে ভিড়তে হবে, পেশিশক্তি দেখাতে হবে এবং লুটপাটে অংশ নিতে হবে। এভাবেই রাজনীতি বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ব্যবসা হয়ে গেছে, যেখানে কোনো মূলধন লাগে না, কিন্তু লাভ সীমাহীন।
কঠিন বাস্তবতা: এক শক্ত হাত ছাড়া মুক্তি নেই
কঠিন সত্য হলো: এই পচা রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিজে থেকে আর কখনো সুধরবে না। প্রধান দুটি দল এবং তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো সমানভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত ও পচে গেছে। তারা সংস্কার করতে পারবে না, কারণ তারা নিজেই রোগ। দেশের উদ্ধার করতে হলে দরকার একজন শক্তিশালী, কঠোর, কিন্তু জনকল্যাণমুখী নেতা—একজন “জনহিতৈষী স্বৈরশাসক”।
• দক্ষিণ কোরিয়া ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসেছিল পার্ক চুং হির কঠোর নেতৃত্বে।
• সিঙ্গাপুর বিশ্বমানের মডেল হয়ে উঠেছিল লি কুয়ান ইউ-এর দুর্নীতি দমন এবং কঠোর শাসনের মাধ্যমে।
• পাকিস্তানেও আয়ুব খানের আমলে অরাজকতার মধ্যে উন্নয়নের ঝলক দেখা গিয়েছিল।
ইতিহাস প্রমাণ করে: যখন গণতন্ত্র ধ্বংস হয় এবং অপরাধীরা রাজত্ব করে, তখন শুধু এক দূরদর্শী শক্ত হাতই শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং উন্নয়নের পথ খুলতে পারে।
উপসংহার: জাতির উদ্ধারকামনা
বাংলাদেশ প্রতারিত। আমাদের গণতন্ত্র চুরি হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে, জনগণ প্রতারিত হয়েছে। আমরা শাসিত হচ্ছি রাষ্ট্রের শত্রুদের দ্বারা যারা কেবল নিজেদের স্বার্থেই কাজ করে। যদি এভাবে চলতে থাকে, বাংলাদেশ ধ্বংসপ্রায় একটি রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
এখন দরকার একজন উদ্ধারকর্তা যিনি অপরাধী রাজনীতিকে ভেঙে দেবেন, দুর্নীতিকে মাটিচাপা দেবেন, এবং রাষ্ট্র জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেবেন।
বাংলাদেশ চিরকাল অপরাধীদের বন্দি থাকতে পারে না। সময় এসেছে শক্ত হাতে ত্রাসমূলক রাজনীতি ধ্বংস করার, শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার, এবং জাতিকে রক্ষার। ডাকাতদের আশ্রয়স্থল হিসেবে তৈরি হয়নি। এই দেশ কখনো দুর্নীতিবাজদের ব্যবসা চালানোর জন্য নির্মিত হয়নি। আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নের মূল ভিত্তি ছিল গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার। অথচ আজকের বাংলাদেশ সেই স্বপ্নকে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, যেখানে রাজনীতি সমানার্থক হয়েছে অপরাধের, গণতন্ত্র মানে প্রতারণা, আর জনগণ মানে শোষণ।
প্রতারণার নামে গণতন্ত্রঃ-
বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজ মৃত। নির্বাচন মানে জালিয়াতি, প্রতিষ্ঠান মানে দখল, আর জনগণের কণ্ঠ মানে নীরবতা। যারা নিজেদের “জনপ্রতিনিধি” বলে দাবি করে, তারা আসলে জনগণের নয়—তাদের স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্য কেবল তাদের পরিবার, গোষ্ঠী ও চক্র। গণতন্ত্র এখানে এক নির্মম প্রহসন, যা লুটপাট এবং দখলের ছদ্মবেশ।
লুটপাট ও সহিংসতার রাজনীতিঃ-
আজ আমরা যা “রাজনীতি” বলি, তা আসলে এক বিশাল অপরাধ সাম্রাজ্য। রাজনৈতিক দলগুলো আর জনসেবার কেন্দ্র নয়; তারা চাঁদাবাজ, ভূমি দস্যু, কালো টাকার মালিক এবং খুনিদের আশ্রয়স্থল। দলীয় পরিচয় মানে লুটপাটের লাইসেন্স, সন্ত্রাসের ছাতা। খুন, অপহরণ, গুম এবং ভীতি সৃষ্টির কাজ এখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নিয়মিত হাতিয়ার।
নীতি-আদর্শের উচ্ছেদঃ-
ন্যায়, জবাবদিহিতা এবং সেবা এসব শব্দ আজ আর রাজনীতির অভিধানে নেই। সেগুলোর স্থানে এসেছে ঘুষ, দখল এবং প্রতারণা। পুলিশ, আদালত, নির্বাচন কমিশন এবং সংসদ সবগুলোই দলীয় দখলে চলে গেছে। রাজনীতির নৈতিক পতন রাষ্ট্রকে দুর্বৃত্তের হাতে তুলে দিয়েছে।
ব্যবসা হিসেবে রাজনীতিঃ-
বাংলাদেশে রাজনীতি এখন আর জনসেবার বিষয় নয়; এটি সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হয়ে গেছে। বিনিয়োগ হলো সহিংসতা এবং দুর্নীতি; প্রতিফলন হলো ক্ষমতা, ধন ও প্রভাব। দলগুলো কর্পোরেশনের মতো কাজ করে নেতা হলো চেয়ারম্যান, অনুসারীরা হলো শেয়ারহোল্ডার, আর জনগণ হলো শিকার।
অপরাধীদের দখলে দেশঃ-
আমাদের রাজনীতির মঞ্চে ভরা আছে অশিক্ষিত, অযোগ্য, নৃশংস ও দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। তাদের কোনো জ্ঞান, দূরদৃষ্টি বা দেশপ্রেম নেই। তারা জাতীয়তাবাদী স্লোগান উচ্চারণ করে দেশ বিক্রি করছে। তারা গণতন্ত্রের শপথ নেয়, অথচ তা ধ্বংস করছে। এরা রাষ্ট্রনেতা নয় স্যুট পরা অপরাধী , রাষ্ট্রের প্রকৃত শত্রু।
বাংলাদেশে একজন নিম্নপদস্থ সরকারি কর্মচারীর জন্য ন্যূনতম শিক্ষা বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজনীতিতে আসতে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান প্রয়োজন নেই। বরং প্রয়োজন হয় মিথ্যাচার, লুটপাট, গুন্ডামি, চুরি, খুন, বোমা হামলা, পেশিশক্তি এবং ভোটারকে ভয় দেখিয়ে প্রতারণার দক্ষতা। রাজনীতি এখন এক অপরাধী দক্ষতার খেলা।
কেন সবাই রাজনীতিতে ঢুকেঃ-
অন্য খাতে সীমিত সুযোগ এবং সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা দুর্নীতির কারণে, রাজনীতি সহজতম ধনী হওয়ার পথ হিসেবে দেখা হয়। কোনো শিক্ষা বা যোগ্যতা লাগে না শুধু দলীয় পতাকার নিচে ভিড়তে হবে, পেশিশক্তি দেখাতে হবে এবং লুটপাটে অংশ নিতে হবে। এভাবেই রাজনীতি বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ব্যবসা হয়ে গেছে, যেখানে কোনো মূলধন লাগে না, কিন্তু লাভ সীমাহীন।
কঠিন বাস্তবতা: এক শক্ত হাত ছাড়া মুক্তি নেই
কঠিন সত্য হলো: এই পচা রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিজে থেকে আর কখনো সুধরবে না। প্রধান দুটি দল এবং তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো সমানভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত ও পচে গেছে। তারা সংস্কার করতে পারবে না, কারণ তারা নিজেই রোগ। দেশের উদ্ধার করতে হলে দরকার একজন শক্তিশালী, কঠোর, কিন্তু জনকল্যাণমুখী নেতা—একজন “জনহিতৈষী স্বৈরশাসক”।
• দক্ষিণ কোরিয়া ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসেছিল পার্ক চুং হির কঠোর নেতৃত্বে।
• সিঙ্গাপুর বিশ্বমানের মডেল হয়ে উঠেছিল লি কুয়ান ইউ-এর দুর্নীতি দমন এবং কঠোর শাসনের মাধ্যমে।
• পাকিস্তানেও আয়ুব খানের আমলে অরাজকতার মধ্যে উন্নয়নের ঝলক দেখা গিয়েছিল।
ইতিহাস প্রমাণ করে: যখন গণতন্ত্র ধ্বংস হয় এবং অপরাধীরা রাজত্ব করে, তখন শুধু এক দূরদর্শী শক্ত হাতই শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং উন্নয়নের পথ খুলতে পারে।
উপসংহার: জাতির উদ্ধারকামনা
বাংলাদেশ প্রতারিত। আমাদের গণতন্ত্র চুরি হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে, জনগণ প্রতারিত হয়েছে। আমরা শাসিত হচ্ছি রাষ্ট্রের শত্রুদের দ্বারা যারা কেবল নিজেদের স্বার্থেই কাজ করে। যদি এভাবে চলতে থাকে, বাংলাদেশ ধ্বংসপ্রায় একটি রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
এখন দরকার একজন উদ্ধারকর্তা যিনি অপরাধী রাজনীতিকে ভেঙে দেবেন, দুর্নীতিকে মাটিচাপা দেবেন, এবং রাষ্ট্র জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেবেন।
বাংলাদেশ চিরকাল অপরাধীদের বন্দি থাকতে পারে না। সময় এসেছে শক্ত হাতে ত্রাসমূলক রাজনীতি ধ্বংস করার, শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার, এবং জাতিকে রক্ষার।