ভুলেও কফি খাবেন না যে কারণে

কফি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়গুলোর একটি। এতে থাকা ক্যাফেইন সাময়িকভাবে ক্লান্তি দূর করে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে সবার শরীরের জন্য কফি উপযোগী নয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থায় কফি পান করা ক্ষতিকর হতে পারে।
প্রথমত, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কফি পান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্যাফেইন রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে, যা হঠাৎ হৃদ্রোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুন: শাহরুখ খানের ফিটনেসের রহস্য জানালেন বিশেষজ্ঞ
দ্বিতীয়ত, অম্লতা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে কফি পরিহার করা উচিত। এতে থাকা অ্যাসিডিক উপাদান পাকস্থলীর অম্লতা বৃদ্ধি করে এবং হজমে অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
তৃতীয়ত, ঘুমের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের কফি না খাওয়াই ভালো। ক্যাফেইন স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে, যার ফলে ঘুমের সময়সূচি ব্যাহত হয় এবং অনিদ্রা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: আজ বিশ্ব ডাক দিবস
চতুর্থত, গর্ভবতী নারীদের জন্য কফি সীমিত বা নিষিদ্ধ রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শিশুর বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
এছাড়া, হৃদ্রোগ, উদ্বেগ, ও পেটের আলসার আছে এমন ব্যক্তিদেরও কফি কম খাওয়া উচিত। নিয়মিত কফি পান শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০০–৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন গ্রহণ করা নিরাপদ। তবে যাদের শারীরিক সমস্যা আছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কফি না খাওয়াই শ্রেয়।