‘গল্পের জাদুকর’ হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, ১৯ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ৪:২৫ পূর্বাহ্ন, ১৯ জুলাই ২০২৩
হুমায়ূন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
হুমায়ূন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় কথাশিল্পী, নাট্যনির্মাতা ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। নিউইয়র্কে ক্যান্সারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১২ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। উপন্যাসে হিমু, মিসির আলির মতো অসংখ্য জনপ্রিয় চরিত্র তৈরি করে এখনো তিনি পাঠকের মনে বেঁচে আছেন। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে কুরআন খতম আর এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবে তার পরিবার। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজনে প্রয়াত এ সাহিত্যিককে স্মরণ করবে। এছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশনে তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। বাবা পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও গৃহিণী মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি।  তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তার ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।

আরও পড়ুন: বাগেরহাট থিয়েটারের বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন কার্যকরী পরিষদ গঠন

তার নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- শংখনীল কারাগার, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা ও শ্যামল ছায়া।

এ কথা সাহিত্যিকের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। উপন্যাসটি প্রকাশের পরই সাড়া জাগায়। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’। এটিও বোদ্ধামহলে প্রশংসিত হয়।

আরও পড়ুন: ‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ বাতিল হলো নবান্ন উৎসব

তার প্রকাশিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে- জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প, মধ্যাহ্ন, কিশোর সমগ্র, হিমুর আছে জল, লীলাবতী, হরতন ইস্কাপন, হিমুর বাবার কথামালা, আজ হিমুর বিয়ে, হিমু রিমান্ডে, মিছির আলীর চশমা, আমিই মিছির আলী, দিঘির জলে কার ছায়া গো, কিছু শৈশব, হ‌ুমায়ূন আহমেদের ভৌতিক অমনানিবাস, আগুনের পরশমণি, পাপ ৭১, শ্রাবণ মেঘের দিন।

তিনি ১৯৯৪ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।