ছিনতাই, চাঁদাবাজি: সামাল দিতে পারছে না পুলিশ
মোহাম্মদপুর-আদাবরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবরে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আরো বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সশস্ত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মোহাম্মদপুর ও আদাবর অন্তত ৪ টি কিশোর গ্যাং ধরা পড়লেও এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অন্তত ৬ টি কিশোর গ্যাং।
প্রতিদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় ঘটছে গড়ে ৮ থেকে ১০ টি ছিনতাইয়ের ঘটনা। লুট হচ্ছে নগদ টাকা মোবাইল ফোন সহ মূল্যবান সামগ্রী। পুলিশের কাছে গেলে তারা মামলা নিচ্ছে না। বলছে, অভিযোগ লিখে দিয়ে যান, আমরা তদন্ত করে দেখব। এই তদন্ত আর হচ্ছে না। হলেও মামলা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সরকারকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আল্টিমেটাম
বারবার বাদি থানায় এসে ধর্না দিলে কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশ বাধ্য হয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নিচ্ছে। কিন্তু মামলা নেয় না। মামলা নিতে অনুরোধ করলে হয়রানি হওয়ার ভয় দেখায় পুলিশ।
মোহাম্মদপুরে গণপিটুনিতে এক ছিনতাইকারী মারা গেলেও থামেনি ছিনতাইকারীদের তৎপরতা।
আরও পড়ুন: ফুটকোর্ট স্থাপনে ডিএনসিসির ৬ সদস্যের কমিটি গঠন
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন কেবলমাত্র লোকবলের অভাবেই দমন করা যাচ্ছে না অপরাধীদের। পুলিশ টহলের মধ্যেই প্রকাশ্যে চলছে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে ছিনতাই চাঁদাবাজি আর দখল বাণিজ্য। মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাসায় ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি করে সন্ত্রাসীরা বীর দর্পে চলে গেলেও তাদের টিকিটি স্পর্শ করতে পারেনি পুলিশ।
ঢাকা উদ্যান ও চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্মক এতটাই বেড়ে গেছে যে বাধ্য হয়ে কেউ কেউ তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক এনামূল কবীর রূপম বলেছেন দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধ সংগঠনের সংবাদ আসলে থানার ওসি মামলা নিতে বাধ্য। তবে ঘটনা ধর্তব্য না হলে জিডি নিয়েও তদন্ত করা যায়। কিন্তু লিখিত অভিযোগ নিয়ে ফেলে রাখা আইনের ব্যত্যয়। তদারককারী পুলিশ কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে মনিটরিং করেন না বলেই অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় যে পরিমাণ অপরাধ সংগঠন হয় মামলা হয় সে তুলনায় খুবই কম। অপরাধীরাও পার পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে এ কারণেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পেশাদার ছিনতাইকারীদের কারাগারে আটকে রাখায় রাখতে পুনঃ গ্রেপ্তারের বিষয়টি থানার ওসির মাথায় রাখা খুবই জরুরি বলে মনে করেন এই অপরাধ বিশেষজ্ঞ।