আগামী বছরের সংকট মোকাবিলায় মন্ত্রিসভার ৬ নির্দেশনা
মন্ত্রিসভা আগামী বছরের সংকট মোকাবিলায় খাদ্য আমদানিতে উৎসে কর ছাড় দেওয়াসহ ৬টি নির্দেশনা দিয়েছে। সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
নির্দেশনাগুলো হল- উৎপাদন বাড়ানো, বিদেশি দক্ষ জনবল পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানো, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, খাদ্য মজুত স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রাখা।
আরও পড়ুন: এমডি নিয়োগে কঠোর শর্ত: অভিজ্ঞতার মানদণ্ড কড়াকড়ি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে কোনো জমি খালি না থাকে। সব জমিতে যেন কিছু না কিছু চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু জায়গায় একটা গুজব চলছে যে, যেসব জমিতে চাষ করা হবে না সেগুলো খাস হয়ে যাবে। গতকাল অনুষ্ঠিত কমিশনারদের সভায় কৃষি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভূমি সচিব উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমরা ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি, কারো জমি চাষ করল না, আর আমি খাস করব, এ রকম কোনো পদ্ধতি নেই। খাস করার একটা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাহাবুদ্দিনকে আর্থিক সুবিধা দিতে ডাচ-বাংলার নিত্যনতুন কত কৌশল
কেউ তার জমিতে চাষ করে না আর এটা খাস করে ফেলবে- এই রকম কোনো প্রভিশন নেই। এটা একটা গুজব, এটি চারদিকে ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
যদি দুই এক জায়গায় কোথাও কেউ করেও থাকে তাহলে এরইমধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন কেউ এই ধরনের কোনো ব্যবস্থা না নেয়। কোনো জমি খাস করার দরকার হলে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিয়ম মেনে করতে হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি কেউ চাষ করল না এক বছর, দুই বছর বা তিন বছর- এতে খাস করার কোনো সিস্টেম নেই। এটা একটা গুজব। এটা কান্ডইলি সবাইকে একটু জানাতে হবে।





