কুয়েটে হামলাকারী সবাইকে শিবিরের নেতা হিসেবে জানি: ছাত্রদল সভাপতি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ন, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৪:৪০ অপরাহ্ন, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রকিব বলেছেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থগিত কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুকের নেতৃত্বে প্রথমে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। আর ওমর ফারুককে আমরা ছাত্রশিবিরের নেতা বলেই জানি। কুয়েট ক্যাম্পাসে গতকাল যারা হামলা করেছে তাদের সবাইকে শিবিরের নেতা হিসেবে জানি।   

আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। 

আরও পড়ুন: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যমুনা সেতু অবরোধ

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি সাড়া দেয়, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকবে না। কিন্তু পরবর্তীতে শিবির যখন আত্মপ্রকাশ করে কমিটি গঠন করে। সেখানে দেখা যায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অর্থাৎ যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকবে না বলছে তারাই শিবিরের নেতাকর্মী হিসেবে  আবির্ভূত হচ্ছে। আমরা এমন বেশ কিছু ক্যাম্পাসের নাম পেয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের এত বোকা ভাবা ঠিক না। শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট মেধাবী ও রাজনীতি সচেতন রয়েছে বিধায় জুলাই আগস্ট সফল হয়েছে। তাহলে এভাবে যারা গুপ্ত ও গোপনীয়ভাবে যেভাবে অপরাপর ছাত্রসংগঠনকে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি করতে না পারে, সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা শিবিরকে দায়ী করবে।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র নারী ভিপি মাহফুজা খানমের মৃত্যু

তিনি আরো বলেন, কুয়েটে ৭ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি দিয়েছে এবং শিবিরের কমিটিও রয়েছে। এই শিবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যদি রাজনীতি করতে পারে, আমার ছাত্রদলের সমর্থকরা যদি একটা সমর্থক ফর্ম নিয়ে থাকে তাহলে কি তারা অপরাধ করেছে?।  

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান পরে সকল ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে আমরা যে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার করেছি তা আমরা রক্ষা করতে চাই। কিন্তু এই বৈষম্য বিরোধী নামধারী অল্পকিছু সংখ্যক ক্যাম্পাসে গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্র রাজনীতি থাকবে না বলে যে অপপ্রচার চালায় এবং সেজন্য যে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক গুলো করে এবং যখন ব্যর্থ হয় তখন তারা শিবির হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। উদাহরণ স্বরূপ বলতে পারেন তিতুমীর কলেজের শিবিরের সাধারণ সম্পাদক।

‘আপনার লক্ষ্য করবেন ৭ আগস্ট থেকে কলেজের যে শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন তিনি গ্রুপগুলোতে প্রতিদিন প্রচুর প্রচারণা চালাতো যে তিতুমীরের ছাত্র রাজনীতি চলবে না। শুধু তাই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রাজু ভাস্কর্যে বেশ কিছু কর্মসূচি করার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন কিছুতে সাড়া দেয়নি। পরবর্তীতে শিবিরের যখন কমিটি প্রকাশ করা হলো সেখানে দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি চাইবে না তারাই নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।।’