এনআইডি নিয়ে হয়রানি ও দুর্ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ সিইসির

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৫২ অপরাহ্ন, ১০ জুন ২০২৪ | আপডেট: ৯:০১ পূর্বাহ্ন, ১০ জুন ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নিতে গিয়ে নাগরিকরা যেন কোনো হয়রানির শিকার না হন এবং তাদের সঙ্গে যেন দুর্ব্যবহার করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সোমবার (১০ জুন) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত এনআইডি সংশোধনসংক্রান্ত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন তিনি। ইসি সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে ইটিআই মহাপরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহে

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে এনআইডির গুরুত্ব এখন অপরিসীম। আমাদের ভোটার তালিকাও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে। এনআইডি এখনও শতভাগ সেটেলড ডাউন হয়েছে, এটা আমার কাছে মনে হয় না। অনেকে অভিযোগ করেন যে, পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হবে। সংশোধনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা আবেদনকারী তাদের কারণে ভুল হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্যগুলো আমি যখন লিখছি, তখন সঠিকভাবে লিখছি না। কিছু সংকট আমাদের রয়েছে। এনআইডি ব্যবস্থাপনা অনেক জটিল। আমি সেটা বুঝি না। তবে জনগণ এলে তাকে সেবা দিতে যেন দেরি না হয়। আমি সরকারি কর্মচারী। যেন হয়রানি না করি, দুর্ব্যবহার না করি, সেটা নিশ্চিত রাখতে হবে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিয়ের পরে অনেকের স্বামীর নাম পরিবর্তন করতে হয়। কোনো কোনো দেশে এটা অপরিহার্য হিসেবে প্রয়োজন হয়। তাই স্বামীর নামটা অরিজিনালি থাকা উচিত। তাহলে বিড়ম্বনা হবে না।

আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে ৪৫ হাজার ৯৮ ভোটকেন্দ্র, দায়িত্বে থাকবেন ৯ লাখের বেশি কর্মকর্তা

তিনি বলেন, আমি জানি স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না। তবে অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয়। আমার হয়তো অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না, কিন্তু ঘন ঘন অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে কী এনআইডি সংশোধন করতে পারবো, সে দিকটাও দেখতে হবে।

সিইসি এরপর বলেন, প্রায়ই শুনি এ ওর নাম নিয়ে ভিন্ন পরিচয় ধারণ করে এনআইডি নিয়েছে৷ বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত হচ্ছে। অনেকে বাবার নাম পরিবর্তন করে চাচার নাম নিয়ে সহায় সম্পত্তি দখল করে ফেলছে। গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে কোনো একটি উপায় বের করতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।

তিনি আরও বলেন, কেউ যদি ১০টা দেশের নাগরিক হন এবং বাংলাদেশেরও নাগরিক হন তাহলে তিনি এনআইডি পাবেন৷ দ্বৈত নাগরিকত্বের অজুহাতে কাউকে এনআইডি দেওয়া থেকে বাদ রাখা যাবে না। যদি কোনো ব্যক্তি কোনোভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হন, সনদের প্রয়োজন নেই; তাকে এনআইডি দিতে হবে।