পাকিস্তানে ৫ গির্জায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, আটক ১০০

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, ১৭ অগাস্ট ২০২৩ | আপডেট: ৫:১৭ পূর্বাহ্ন, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গতকাল পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে কমপক্ষে পাঁচটি গির্জায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা ঘটেছে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে বুধবার জারানওয়ালা এলাকায় এ তাণ্ডব চালানো হয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এবং বার্তা সংস্থা এফএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০০ জনেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঞ্জাবের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র।

আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঞ্জাব সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, প্রাদেশিক সরকারও এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

পুলিশ জানায়, কোরআন অসম্মানের অভিযোগে স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর এ হামলা চালানো হয়। যে দু'জনের বিরুদ্ধে কোরআনকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলায় শিগগিরই স্থল হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র

খ্রিষ্টধর্মীয় নেতা আকমল ভাট্টি জানিয়েছেন, একদল লোক অন্তত ৫টি গির্জায় আগুন দিয়েছেন। আতঙ্কিত লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার পর লুটপাট চালানো হয়েছে।

তার অভিযোগ, মসজিদের মাইক থেকে এক ধর্মীয় নেতা সহিংসতায় উসকানি দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, গির্জার ভবন থেকে ধোঁয়া উড়ছে। সেখান থেকে বের করে আনা আসবাবপত্রেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ সময় বেশ কিছু লোক পার্শ্ববর্তী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।

জারানওয়ালার পাদরি ইমরান ভাট্টি বলেন, ইসা নগরী এলাকার ৪টিসহ মোট ৫টি গির্জায় তাণ্ডব চালানো হয়।

তিনি আরও বলেন, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বাড়িও গুঁড়িয়ে দিয়েছেন সহিংস লোকজন।

পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান উসমান আনোয়ার বলেন, বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ওই এলাকায় সরু গলিতে ছোট ২-৩টি গির্জা রয়েছে। সেখানে একটি প্রধান গির্জাও অবস্থিত। বিক্ষোভকারীরা এসব গির্জার কিছু অংশ ভাঙচুর করেছেন।

তবে খ্রিষ্টধর্মীয় নেতাদের অভিযোগ, ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ।