ওবামার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের দাবি ট্রাম্পের

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ন, ২৫ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৬:৩২ পূর্বাহ্ন, ২৫ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে ওবামা প্রশাসনের ভূমিকাকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক ও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “ওবামাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।”

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

আরও পড়ুন: ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত, পদক্ষেপ সীমিত: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন

তিনি বলেন, “এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা ছিলেন বারাক হুসেইন ওবামা। তারা নির্বাচন চুরি করতে চেয়েছিল এবং সেজন্য গোয়েন্দা তথ্য বিকৃত করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম বড় রাষ্ট্রদ্রোহমূলক অপরাধ।”

ট্রাম্প অভিযোগ করেন, রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তদন্তকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ওবামা প্রশাসন তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চেষ্টা চালিয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজা পুরোপুরি দখলে ইসরায়েলের অভিযান শুরু, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১২৩

এই দাবির পক্ষে ট্রাম্প জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বর্তমান পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের একটি প্রতিবেদনকে ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরেন। গত ১৮ জুলাই প্রকাশিত ১১ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওবামা প্রশাসনের একাধিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেন এবং তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করেন।

গ্যাবার্ড তার প্রতিবেদনে এই ঘটনাকে “রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক ষড়যন্ত্র” বলে উল্লেখ করে ফৌজদারি মামলার সুপারিশ করেছেন।

ওবামা দপ্তর ট্রাম্পের এই অভিযোগকে “অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগের সাধারণত জবাব দেওয়া হয় না। কিন্তু এই দাবিগুলো এতটাই অসংগত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যে তা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করা প্রয়োজন।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তুলসী গ্যাবার্ডের প্রতিবেদন কোনো নিরপেক্ষ তদন্তের ফল নয়, বরং নির্বাচনী রাজনীতিকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।

ডেমোক্র্যাট নেতারাও ট্রাম্প ও গ্যাবার্ডের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও নাটকীয় বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো থেকে জনগণের মনোযোগ সরাতেই এ ধরনের বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই ধরনের মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে।