নেপালে অবশেষে উঠল সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা
রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে টানা বিক্ষোভ ও সহিংসতায় প্রাণহানি ঘটার পর নেপাল সরকার অবশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের পর দেশটির যোগাযোগ, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্ত জানান। তিনি বলেন, সরকার তরুণ প্রজন্মের দাবি বিবেচনা করে ফেসবুক, এক্স, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্মের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের পর্যাপ্ত পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার দেয়া যাবে
মন্ত্রী আরও জানান, সহিংসতার ঘটনায় তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
প্রসঙ্গত, নেপালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে সরকারিভাবে নিবন্ধনের জন্য ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সরকার। তবে নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধন সম্পন্ন না করায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অ্যাপগুলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হয় আন্দোলন, যা দ্রুত দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করা হয়।
বিক্ষোভের চাপের মুখে সোমবার নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের দাবিও জোরালো হতে থাকে।





