নেপালে অভ্যুত্থান

পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার, মোদি-মমতা বৈঠকে সমঝোতা

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৩ অপরাহ্ন, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:১৩ অপরাহ্ন, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নেপালের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশেষ করে শিলিগুড়ি জেলার চিকেন’স নেক এলাকায় ভারতের সঙ্গে নেপালের ১০০ কিলোমিটার সীমান্ত থাকায় অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গ সফরে গেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেন্দ্রের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমরা একমত।”

আরও পড়ুন: হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ১২৮

নেপালে ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের বিক্ষোভ শুরু হয়। মাত্র দু’দিনের মধ্যে সেনা হস্তক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সরকার পতিত হয় এবং সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হন। তবে দেশটির পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বিশেষ করে নকশালপন্থি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রভাবের কারণে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে।

মোদির সঙ্গে মমতার বৈঠকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল

শিলিগুড়ি ভারত-নেপাল সীমান্তের পাহারায় সশস্ত্র সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)-র পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনী SSB দায়িত্ব পালন করবে।

কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের কার্যক্রম জোরদার করা হবে।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দীর্ঘদিন থেকে এই রাজ্যে প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছে। তবে সীমান্ত নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সমঝোতা দেশীয় ও সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।