সিলেটে লুটপাটের ঘটনায় তিন মামলা, আসামি ১৮০০, গ্রেফতার ২৪

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটের বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৮০০ জনকে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য মতে এই তিন মামলায় ২৪ জন গ্রেফতার হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় সর্বশেষ মামলাটি করেন বাটার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোস্তাসিম বিল্লাহ। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৮০০-৯০০ জনকে। মামলার এজাহারে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
ওইদিন বিকেলে ডোমিনোজ পিজ্জার এক্সিকিউটিভ আল-আমিন বাদি হয়ে ৭০০-৮০০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। এতে তিনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করেন প্রায় ৭৭ লাখ টাকা।
এর আগে মঙ্গলবার মীরবক্সটুলার হোটেল রয়েল মার্কের ম্যানেজার অপারেশন্স আবদুল মতিন সরকার বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন, তার হোটেলের ক্যাশ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ কম্পিউটার ও অন্যান্য মূল্যবান কাগজপত্র লুট করা হয় এবং হোটেলের নিচতলা ভাঙচুর করে প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, এখন পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত সোমবার বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল সিলেট। বিক্ষোভের সময় কেএফসি, বাটা, ইউনিমার্ট, রয়েলমার্ক, আলপাইন রেস্তোরাঁসহ প্রায় ১০টি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়।