সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

Babul khandakar
বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৫:৩৫ অপরাহ্ন, ২০ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, ২০ জুলাই ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

টাকা আত্মসাতের দায়ে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। 

দন্ডিতরা হলেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জি এম ননী গোপাল নাথ, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান , ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, প্যারাগন প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা  ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আপিল চলছে

এদের মধ্যে হুমায়ন কবির, ননী গোপাল, সাইফুল হাসান, সাইফুল ইসলাম রাজা  ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পৃথক দু’ধারায় ১৭ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। রায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদন্ড করেছেন আদালত। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে। এছাড়া প্রতারণার দায়ে তাদের আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। 

অপরদিকে আসামি সফিজ উদ্দিন, কামরুল হোসেন ও মাইনুল হককে পৃথক ধারায় ৮ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে। এছাড়া প্রতারণার দায়ে তাদের আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: সালমান শাহর মৃত্যুর তিন দশক পর হত্যা মামলা দায়ের

এছাড়া আসামি ডিজিএম আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষনার আগে তিন আসামি মাইনুল হক, সফিজ উদ্দিন ও কামরুল হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দন্ডিত অপর ৫ আসামি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারি পরিচালক এরামুল হক চৌধুরী রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ- পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ। 

২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৫৫ জনের মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।