শীতে হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথায় পেইনকিলার নয়, উপকার দেবে এই ৫ ঘরোয়া উপায়
শীতকালে অনেক মানুষেরই হাঁটু কিংবা হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা বেড়ে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরের ব্যথা অনুভবকারী স্নায়ুগুলো বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে, ফলে আগের তুলনায় ব্যথা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। এই সময়ে ব্যথা কমাতে অনেকে যত্রতত্র পেইনকিলার বা ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করেন, যা দীর্ঘমেয়াদে কিডনি ও লিভারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ওষুধ না খেয়ে কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় মেনে চললে শীতকালের হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিচে এমনই ৫টি কার্যকর ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হলো—
আরও পড়ুন: ভাইরাল জ্বর ও ঋতু পরিবর্তনে সুস্থ থাকতে কী খাবেন, কী এড়াবেন
১. হাঁটু উষ্ণ রাখা
শীতের ঠান্ডা বাতাস যেন সরাসরি হাঁটুতে না লাগে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। হাঁটু সবসময় ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। গরম কাপড় বা নি-ক্যাপ ব্যবহার করলে ওই অংশে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে এবং ব্যথা কম অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন: শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে কার্যকর ৩ প্রাকৃতিক ক্লিনজার
২. গরম সেঁক দেওয়া
হাঁটু ব্যথা কমাতে গরম সেঁক অত্যন্ত কার্যকর। সুযোগ পেলেই হট ওয়াটার ব্যাগ বা গরম কাপড় দিয়ে হাঁটুতে সেঁক দিন। এতে পেশি শিথিল হয় এবং হাড়ের জড়তা কমে ব্যথা উপশম হয়। শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান এড়িয়ে চলাই ভালো। সবসময় কুসুম গরম বা হালকা গরম জলে স্নান করলে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে এবং জয়েন্টের ব্যথা দ্রুত কমে।
৪. সিঁড়ি ব্যবহারে সতর্কতা
যাদের হাঁটুতে ব্যথা রয়েছে, তারা এই সময়ে অতিরিক্ত সিঁড়ি ওঠানামা এড়িয়ে চলুন। সিঁড়িতে হাঁটলে হাঁটুতে বাড়তি চাপ পড়ে, যা ব্যথা আরও বাড়াতে পারে। যতটা সম্ভব সমতল জায়গায় হাঁটাচলা করুন।
৫. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও হলুদ
হাঁটু ও জয়েন্ট সুস্থ রাখতে নিয়মিত শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়া জরুরি। পাশাপাশি হলুদ অত্যন্ত উপকারী। হলুদে থাকা ‘কারকিউমিন’ প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। দুধের সঙ্গে বা রান্নায় নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।





