সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও জুলাই যোদ্ধাদের ‘চরমপন্থি’ আখ্যা দেওয়ার প্রতিবাদে জুলাই ঐক্যের সংবাদ সম্মেলন

Sanchoy Biswas
শাহরিয়ার ইসলাম
প্রকাশিত: ৬:৫৬ অপরাহ্ন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:০৭ পূর্বাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা ও জুলাই যোদ্ধাদের ‘চরমপন্থি গোষ্ঠী’ হিসেবে আখ্যায়িত করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম জুলাই ঐক্য। সংগঠনটির দাবি, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের বক্তব্য পররাষ্ট্রনীতির সীমা লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মানবাধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে প্রেস রিলিজ পাঠ করেন এবি জুবায়ের। তিনি বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে পূর্বঘোষিত ও শান্তিপূর্ণ ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিকে ভারতের পক্ষ থেকে ‘ঢাকায় কিছু চরমপন্থি গোষ্ঠীর আন্দোলন’ বলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

আরও পড়ুন: সিকৃবিতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রামপুরা ব্রিজ থেকে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ মার্চটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে বাড্ডা এলাকায় অবস্থানে রূপ নেয়। এতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সংগঠনটির দাবি, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে চরমপন্থি আখ্যা দিয়ে ভারত নিজেদের রাজনৈতিক ও নৈতিক দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছে।

জুলাই ঐক্যের অভিযোগ, অতীতেও বাংলাদেশের নাগরিকদের চরমপন্থি ও জঙ্গি আখ্যা দিয়ে দমন-পীড়নের নজির রয়েছে এবং একই কৌশলে জুলাই যোদ্ধাদের ‘হত্যাযোগ্য’ করার অপচেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানোর কথাও তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে আবারো ধরা পড়লো ভুয়া শিক্ষার্থী!

সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সময় ভারতের কূটনৈতিক ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ভিয়েনা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৯ অনুযায়ী ভারতীয় হাইকমিশনারকে পারসোনা নন গ্রাটা ঘোষণার দাবি জানানো হয়।

জুলাই ঐক্য জানায়, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি দিল্লির কাছে এ বিষয়ে জবাবদিহিতা না চায়, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্চ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। পাশাপাশি ভারতের মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনের শেষাংশে সংগঠনটি জানায়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক হবে ন্যায্যতা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে। কোনো ধরনের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নতুন বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।