১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে পত্রিকা প্রকাশ এবং সব প্রতিবেদন হুবহু একই হওয়ার কারণে ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা ১১ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে হেযবুত তওহীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন প্রত্যেক সম্পাদক ও প্রকাশককে চিঠি পাঠিয়ে তাদের ডিক্লারেশন বাতিল করার বিষয়টি জানিয়েছিল।
ডিক্লারেশন বাতিল করা পত্রিকাগুলো হলো-দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ, দৈনিক দেশের খবর, দৈনিক বিশ্বের মুখপত্র, দৈনিক ঈষিকা, দৈনিক অদম্য বাংলা, দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ, দৈনিক দিগন্ত বাংলা, দৈনিক জাহান, দৈনিক কিষাণের দেশ, হৃদয়ে বাংলাদেশ এবং সাপ্তাহিক পরিধি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
জেলা প্রশাসনের চিঠিতে বলা হয়েছে, ১০ ও ১৩ এপ্রিল প্রকাশিত ১১ পত্রিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাতায় হুবহু একই সংবাদ ও তথ্যচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া এই সংখ্যাগুলো অনুমোদিত ছাপাখানায় মুদ্রিত হয়নি। ১৬ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট ১৩ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। পরে ২১ এপ্রিল তারা ঘটনা ভুল স্বীকার করে বাহ্যিক ছাপাখানার দায়িত্বহীনতা ও নিজস্ব মুদ্রণ ব্যবস্থার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ব্যাখ্যা জমা দেয়। তবে তা গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিযুক্ত বিবেচিত হয়নি।
এরপর ১৮ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সরেজমিন তদন্তে প্রমাণিত করেছেন যে, প্রকাশিত ১১ পত্রিকা অনুমোদিত ছাপাখানায় মুদ্রিত হচ্ছে না।
ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা কালের কণ্ঠকে বলেন, “গত ৩০ মার্চ এবং ৭, ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ এপ্রিল পত্রিকাগুলোর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাতায় সব প্রতিবেদন হুবহু একই ধরনের ছাপা হওয়ায় শোকজ করা হয়। এটি ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ৪ ও ৭ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই ঘোষণাপত্র আইন ১৯৭৩-এর ১০ ধারায় বাতিল করা হয়েছে।”
এই বিষয়ে দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ ও দৈনিক দিগন্ত বাংলার সম্পাদক আনম ফারুক বলেন, “আমি শুনেছি, তবে এখনো চিঠি পাইনি। বিস্তারিত জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
দৈনিক জাহান পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আবুল হাসেম বলেন, “একটি ঐতিহ্যবাহী পত্রিকার এই অবস্থা মানা যায় না। কপাল খারাপ হলে যা হয়, তাই হয়েছে। সব কিছু মোকাবেলা করেই চলতে হবে।”