পেশোয়ারে এফসি সদর দপ্তরে আত্মঘাতী ও সশস্ত্র হামলা, নিহত দুই হামলাকারী
পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারে আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে আত্মঘাতী ও সশস্ত্র হামলা হয়েছে। সোমবার শহরটির ফেডারেল কনস্ট্যাবুলারি (এফসি) সদর দপ্তরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা জানান, এফসি সদর দপ্তরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল
পেশোয়ার ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) ডা. মিয়ান সাঈদ আহমদ বলেন, এফসি সদর দপ্তর হামলার মুখে। আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছি এবং পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এফসি সদর দপ্তরের মূল ফটকের সামনে এক আত্মঘাতী হামলাকারী নিজের শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের পরপরই তীব্র গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৪
সূত্রগুলো আরও জানায়, এ পর্যন্ত দুই জন সশস্ত্র হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং পুরো এলাকা নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে রেখেছে।
একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা পরিচয় না প্রকাশের শর্তে রয়টার্সকে বলেন, প্রথম আত্মঘাতী হামলাকারী সদর দপ্তরের মূল প্রবেশপথে আক্রমণ চালায়, আর দ্বিতীয়জন বিস্ফোরণের পর ভেতরে প্রবেশ করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।
২০২২ সালের নভেম্বর সরকার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙে তেহরিক–ই–তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) আবারও নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে এ ধরনের হামলার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরেও খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু জেলায় এফসি সদর দপ্তরে হামলার চেষ্টা নস্যাৎ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সে ঘটনায় ছয়জন সৈন্য নিহত ও পাঁচজন হামলাকারী নিহত হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী সে সময় জানায়, এ হামলা চালিয়েছে 'ইন্ডিয়ান প্রক্সি ফিতনা–আল–খাওয়ারিজ’ নামের একটি গোষ্ঠী। সরকার এই নামটি ব্যবহার করে মূলত নিষিদ্ধ টিটিপি–সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের বোঝাতে।
পেশোয়ারের এফসি সদর দপ্তরে নতুন হামলার ঘটনা দেশটির চলমান নিরাপত্তা সংকটকে আবারও সামনে এনে দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী হামলার সুনির্দিষ্ট কারণ ও জড়িত গোষ্ঠীর নাম জানতে তদন্ত শুরু করেছে।





