টিকাকার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র থাকলেই মিলবে জন্মনিবন্ধন
এখন থেকে টিকার কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র যে কোনো একটি প্রমাণপত্র থাকলেই জন্মনিবন্ধন করা যাবে। জন্মনিবন্ধনের ঝামেলা কমাতে গত ১ আগস্ট থেকে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়। শনিবার আমাদের সময়.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী রেজিস্ট্রার জেনারেল।
এর আগে সন্তানের জন্মনিবন্ধন করতে মা-বাবার জন্মনিবন্ধন সনদ লাগতো। ওই সনদ নিতে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্রসহ সংযুক্ত করতে হতো আরও অনেক কিছু। এতে করে বেশি বিপাকে পড়ত মা-বাবা বিচ্ছেদ হওয়া সন্তানরা। এতসব প্রমাণপত্র জোগাড় করতে গিয়ে তাদের জন্মনিবন্ধন করাটা কঠিন হয়ে উঠেছিল। যারফলে জন্মনিবন্ধন কার্যালয়গুলোতে গড়ে ওঠে অসাধু চক্র। উৎকোচ ছাড়া নিবন্ধন করা যাচ্ছিল না।
আরও পড়ুন: দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ আগামী সপ্তাহে
তবে, রেজিস্ট্রার জেনারেল মির্জা তারেক হিকমত গণমাধ্যমেকে বলেন, এসব শর্ত দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল দেশের সব মানুষের জন্য একটি শক্তিশালী ডাটাবেজ তৈরি করা। সেটা করতে গিয়ে জন্মনিবন্ধন নিয়ে একটি দুর্নীতিবাজ চক্রও গড়ে ওঠে। এখন যে কেউ চাইলে জন্মনিবন্ধনের সময় সব তথ্য দিয়ে রাখতে পারবে। এতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুবিধা হবে। আর কেউ পুরোটা দিতে না চাইলে জন্মের একটি মাত্র প্রমাণপত্র যেমন টিকার কাগজ বা হাসপাতালের ছাড়পত্র দিয়েও সন্তানের জন্মসনদ নিতে পারবেন।
নিবন্ধনের নিয়ম: রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে (Error! Hyperlink reference not valid.) ঢুকে আমাদের সেবা আইকনে ক্লিক করলেই প্রথমে জন্মনিবন্ধন নামের একটি সেবা ট্যাব আসবে। এখানে ক্লিক করলেই আসবে আবেদন ফরমটি। ফরমটি পূরণ হলে ডাউনলোড করে প্রিন্ট দিয়ে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্নিষ্ট শাখায় গেলেই জন্মনিবন্ধন সনদ পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বনেতাদের উত্থান, পতন ও পরিণতি
এক্ষেত্রে মা-বাবা বিচ্ছেদ হওয়া সন্তানরা পাবেন বিশেষ ছাড়। নতুন নিয়মে মা-বাবা যে কারোর জন্মনিবন্ধন থাকলে সন্তানের জন্মনিবন্ধন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে শুধু বর্তমান বা স্থায়ী ঠিকানা এবং সন্তানের জন্মের একটি প্রমাণপত্র- যেমন টিকার কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্রের কপি দিতে হবে। তার পরও বিশেষ ক্ষেত্রে এ ব্যাপারেও ছাড় দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের যিনি জন্মনিবন্ধনের ফরম পূরণ করেন তাকে বিষয়টি জানাতে হবে। তিনি নিজের ইউজার আইডি দিয়ে ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করে দেবেন।
এদিকে রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের ওয়েবসাইটটি অত্যন্ত ধীরগতির বলে অসংখ্য মানুষের অভিযোগ রয়েছে। কেউ জন্মনিবন্ধন লিঙ্কে ঢুকতে গেলেই ব্যর্থ হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী রেজিস্ট্রার জেনারেল আকতার জামিল বলেন, সার্ভারটিতে একসঙ্গে অনেকজন ঢুকলেই সমস্যা হয়। যেখানে গড়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার জন্মনিবন্ধন হওয়ার কথা সেখানে বর্তমানে এক লাখের মত মানুষ এই ওয়েবসাইটে ঢুকে। এমন হওয়ার কারনে সার্ভার ধীরগতি হয়। তবে, এটা আরও আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি আগামী তিন মাসের মধ্যে উপযুক্ত সার্ভার সংযুক্ত করা হবে।





