দুই সিটিতে ভোট, ইসির চোখ সিসি ক্যামেরায়
নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত অনিয়মের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে ভোটদানে বাধাদানসহ অনিয়ম ধরতে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরায় চোখ রাখছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টায় প্রায় আট লাখ ভোটারের এ দুই সিটিতে ৪১৫টি ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ আগামী সপ্তাহে
নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সরাসরি মনিটরিং করছেন কমিশন।
সম্প্রতি সিলেটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছিলেন, কেউ ভোট দিতে না পারলে তিনি যেন সিসি টিভি ক্যামেরায় চিৎকার করে বলেন। সে দেখে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বনেতাদের উত্থান, পতন ও পরিণতি
ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গাজীপুর সিটির মতো এই দুই সিটির ভোটও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারবে বলে আশা করছে কমিশন।
বরিশালে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন লড়ছেন। আর খুলনা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিতে পেরে অনেকে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তবে সময় বেশি লাগছে বলে অভিযোগ ভোটারদের। অনেকের আঙুলের ছাপ না মেলায় বিরম্বনায় পড়তেছেন বলে জানান।





